সিমা পুরকাইত,দক্ষিণ ২৪ পরগনাঃ
অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের ফলে মুড়ি গঙ্গার নৌকা ডুবি আজও বেদনার জীবন্ত স্মৃতি হয়ে বর্তমান।জেলার বিভিন্ন প্রান্তে আজও চলে লুকিয়ে অতিরিক্ত যাত্রী পারাপার।দুর্ঘটনার পর কিছু দিন বন্ধ থাকলেও যথা পূর্বং অবস্থা।বন্ধ হয়নি নামখানা ব্লকের নারায়নপুর ফেরি ঘাটটি।এই ফেরিঘাট দিয়ে চলে হাতানিয়া দোয়ানিয়া নদী পারাপার।এই নদীর পূর্বে সপ্তমুখী,পশ্চিমে রয়েছে মুড়ি গঙ্গনদী। হাতানিয়া দোয়ানিয়া নদীর নারায়নপুর ফেরিঘাট দিয়ে চলে আট থেকে দশটি এলাকায় ফেরি চলাচল।নারায়নপুর থেকে সকালে বিকালে যায় বুড়াবুড়ির তট,রাখ্যসখালি,সিতারামপুর দ্বীপে চলে দুটি ভটভটি।যার বহন ভার রয়েছে সরকারি মতে আশি থেকে একশ জন।কিন্তু প্রশাসনিক বিধানকে কার্যত বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ প্রদর্শন করে চলছে আতিরিক্ত যাত্রী পারাপার।একশ’র জায়গায় চলছে তিনশো থেকে চারশো যাত্রী সঙ্গে মালপত্র।জেলা প্রশাসনের নজরদারিতে চলে এই তিনটি দ্বীপের ভটভটি পরিষেবা।বছরে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে টেন্ডার ডাকা হয় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।তিনটি দ্বীপে যেতে সময় লাগে আড়াই থেকে তিন ঘন্টা,পনের থেকে কুড়ি টাকা পরে মাথাপিছু ভাড়া,অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হয় মালপত্র বহনে।বহুমানুষ যাতায়ত করেন এই রুটে।ভীড় বাড়ে ডিসেম্বরে।সাধারণ বাসিন্দাদের নিত্য পারাপারের সাথে এসে মেশে পর্যটকদের ভ্রমণ আর এই ফাঁকে দু পয়সা বেশী আয়ের আশায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলে যাতায়াত।সিভিক পুলিশ থেকে নৌকা কর্মী সকলের সামনেই চলে এই যাতায়াত।দুর্ঘটনা ঘটলে দায় কে নেবে প্রশ্ন শুনে মুখ ঢাকে নৌকা কর্মী।উত্তর নেই নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাছেও।অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনে আছে সরকারী নিষেধাজ্ঞা।কত যাত্রী পরিবহনে অনুমতি আছে তাও জানে না নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিভিক ভলান্টিয়াররা।ঘটনা ঘটে যাওয়ার পূর্বেই সাবধানতা জরুরি নয় কি?যেখানে নাগরিক জীবনের প্রশ্ন যুক্ত।বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান।এখন দেখার কতটা সর্তক হয় প্রশাসন।নাকি জীবনকে বাজি রেখেই এভাবেই চলবে পারাপার আগত কোন দুর্ঘটনা ঘটে যাওয়ার অপেক্ষায়।
আরও পড়ুন: আগ্নেয়াস্ত্র সহ গ্রেফতার এক দুষ্কৃতি
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584