পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে শরীরে প্রবেশ করেছে প্রেতাত্মা, খাচ্ছে জুতো!

রঙ্গিলা খাতুন , মুর্শিদাবাদঃ  

ডিজিটাল  দুনিয়াতে এ যেনো

অবাক কান্ড! মানুষে খাচ্ছে জুতো..!

জুতো খেয়ে জল খাবার পরেই ফিরলো হুস! আসল ঘটনা হল – মুর্শিদাবাদ বড়ঞা থানার অন্তর্গত ময়ুরাক্ষী নদীর মাঝে অবস্থিত চৌতপুর বেলতালা শ্মশান আর সেখানেই থাকেন এক বাবাজী। রবিবার বাবার দরবারে পরিবারকে নিয়ে আসেন‌ বছর ৩৫ এর ব্যাক্তি রাজু দাস। কান্দি শহরের ভোলানাথ পাড়ার বাসিন্দার রাজুর উপর নাকি আত্মা ভর করেছে তাও আবার একটি নয় দুই দুটি প্রেতাত্মা।  রানি সেখ ও সুস্মিতা রায় নামের হিন্দু মুসলিম ২ মৃত মহিলার শরীরে প্রবেশ করার পর থেকেই বাড়িতে ব্যাপক তাণ্ডব শুরু করেছেন তিনি এমনটাই দাবি পরিবারের। অতিষ্ঠ হয়ে অবশেষে পরিবারের পক্ষ থেকে রাজু বাবুকে নিয়ে আসা হয়েছে ভূত ছাড়াতে!!

কথিত আছে, ময়ূরাক্ষী নদীর মধ্যে অবস্থিত বড়ঞা থানার চৌতপুর এর এই সন্ন্যাসী তলায় নাকি যে অশরীরী আত্মা দের পীঠস্থান! আর এখানেই বসবাস করা নানু সাধুর মন্ত্র পড়া জল ও মন্ত্রর জোর নাকি এতটাই যে যেকোনো অশরীরী আত্মা তার সাথে পেরে ওঠে না অবশেষে পরাজয় স্বীকার করে নিজ স্থানে ফিরে যায়। পরিবারের দাবি, রাজুর শরীরের ভিতরে থাকা  দুটি অশরীরী আত্মা কে টেনে বের করে মুখে জুতো দিয়ে নাকি বট গাছের তলায় ছেড়ে দিল ওই সাধু বাবা!!

আরও পড়ুনঃ পঁচিশ লক্ষ টাকার হেরোইন সহ বেলডাঙ্গা থানার পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার ২

বিজ্ঞানের যুগে একদিকে যেমন এসব কুসংস্কার বলেই গ্রাহ্য হয় তেমন অপরদিকে গ্রামে গঞ্জের এমন কান্ডে হতভম্ব হন অনেকেই! যদিও বিজ্ঞান মঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ওই যুবকের মানসিক কোনও রোগ হয়েছে। ভাল ডাক্তার দেখানো উচিত। প্রশাসন এ ব্যাপারে সাহায্য করুক। কুসংস্কার দূর করতে গ্রামগঞ্জে  সচেতনতা প্রচার প্রয়োজন।