নিজস্ব সংবাদদাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগণাঃ
গত বেশ কয়েক মাস আগে ঘটে যাওয়া বুলবুল ঘূর্ণিঝড়ের দুঃস্বপ্ন আজও ভুলতে পারছে না সুন্দরবনবাসী। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় দিনকে দিন বেড়েছে ক্ষতির পরিমাণ।
ক্ষতির মুখে বসতবাড়ি, চাষের জমি, জমির ফসল। ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে সরকারিভাবে। দক্ষিণ সুন্দরবনের একাধিক গ্রামে কিন্তু ক্ষতিপূরণ নিয়ে সংশয় দানা বেঁধেছে।
আরও পড়ুনঃ শ্মশান ঘাটের উদ্বোধন মাথাভাঙায়
অধিকাংশ চাষিরা দাবি করেছেন, আমন চাষের পাশাপাশি শীত মরশুমে ফসলের ক্ষতির মুখে পড়েছে দক্ষিণ সুন্দরবনের চাষিরা। বিশেষ করে আমন ধান চাষে বেশি ক্ষতি হয়েছে।
২০০৯ সালে আইলা ঘূর্ণিঝড় হওয়ার পর চাষ করতে পারছিলেন না চাষিরা। অধিকাংশ খাল সমুদ্রগর্ভে চলে যাওয়ার পাশাপাশি চাষের জমি নোনা জলে গ্রাস করে নেওয়ায় চাষ বন্ধ হয়ে পড়ে।
আরও পড়ুনঃ তুফানগঞ্জে বিজেপি রাজ্য সম্পাদককে ঘিরে বিক্ষোভ, প্রতিবাদে পথ অবরোধ
সব অবসান কাটিয়ে আবার যখন চাষ শুরু হয়, তখন বুলবুল ঘূর্ণিঝড় চাষীদের বিঘার পর বিঘা জমি ক্ষতি করে বলে দাবি করেন। খরা মরশুমে আবার শুরু হয়েছে চাষ ।
ঝড়ের জেরে অঘ্রায়ণে যে চাষ শুরু হওয়ার কথা সেটা মাঘ মাসে বীজ রোপন করতে হচ্ছে গঙ্গাসাগর ব্লকের একাধিক জায়গায়। অনেক জায়গায় খাল না থাকায় পুকুরের জলের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে অনেককে।
একদিকে খরা মরশুমে চাষের খরচ বেশি, অন্যদিকে জল সঙ্কট নিয়ে সংশয়ের দানা বেঁধেছে। ফলে আবারও আকাশের জলের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে অনেককে ।
ধবলাট, গঙ্গাসাগর, মুড়িগঙ্গা ১, মুড়িগঙ্গা ২, রুদ্রনগর, ধসপাড়া বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে শুরু হয়েছে বোরো চাষের কাজ। চলতি বছরে ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশ জমিতে চাষ হচ্ছে বলে দাবি সাগর পঞ্চায়েত সমিতির কৃৃষি ও সেচ সমবায় কর্মধ্যক্ষ স্বপন প্রধান।
২০১৮-২০১৯ বর্ষে সাগর ব্লকে একাধিক জায়গায় খাল সংস্করণ হয়েছে। চলতি বছরে এগারোটি খাল আরেও সংস্করণ হবে।
ফলে চাষ নিয়ে যে জল সঙ্কটের ঘার্তি, তার সামাধান মিলবে বলে দাবি সাগর বিধায়ক বম্কিম চন্দ্র হাজরার। সব অবসান কাটিয়ে খরা মরশুমে ভাল চাষ হবে বলে দাবি সুন্দরবনবাসীর ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584