বিজেপির সংকল্প যাত্রার সভাতে নেতাদের হাতাহাতি

0
79

নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ

বিজেপির সংকল্প যাত্রার সভাতে ভরা মঞ্চে দুই নেতার মধ্যে হাতাহাতি, ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা থানার আমলাগোড়ায়, বিজেপির দলীয় সূত্রে জানা যায় বৃহস্পতিবার গড়বেতার খড়কুশমা থেকে বিজেপির সংকল্প যাত্রা শুরু হয়েছিল বৃষ্টির মধ্যেই। আগের দিন বুধবার রসকুণ্ডুতে মন্দিরে পুজো দিয়ে গড়বেতা ও শালবনি বিধানসভা কেন্দ্রের সংকল্প যাত্রার সূচনা করেছিলেন ঝাড়গ্রামের সাংসদ কুনার হেমব্রম।

Fighting between two leaders in BJP Rally
প্রকাশ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। নিজস্ব চিত্র

বৃহস্পতিবার খড়কুশমা থেকে শুরু হয়েছিল দ্বিতীয় দিনের যাত্রা। এদিনও প্রথম থেকেই ছিলেন সাংসদ। শ্যামনগর, ধাদিকা, গড়বেতা হয়ে আমলাগোড়ায় সংকল্প যাত্রা এসে পৌছায় দুপুর দেড়টা নাগাদ। এখানে পথসভায় বক্তব্য রাখার কথা ছিল সাংসদ সহ বিজেপি নেতাদের। সভা শুরুর আগেই মঞ্চে সাংসদ কুনার হেমব্রম থাকাকালীনই গন্ডগোলে জড়িয়ে পড়েন দলের জেলা সহ সভাপতি প্রদীপ লোধা ও জেলা সম্পাদক মদন রুইদাস। মঞ্চের চেয়ারে বৃষ্টির জল মোছা নিয়ে দুই নেতার গন্ডগোলের সূত্রপাত। দলীয় সাংসদের সামনেই দুই জেলা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। দু’জনেই মঞ্চ থেকে পড়ে যান। এই অবস্থায় অস্বস্তি ঢাকতে মঞ্চ থেকে নেমে চলে যান কুনার হেমব্রম। ভেস্তে যায় সভা। হকচকিয়ে যান মঞ্চের নিচে জমায়েত হয়ে থাকা যাত্রায় সামিল কর্মী সমর্থকেরা। গন্ডগোলের রেশ তার পরেও থাকে।

আরও পড়ুনঃ রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর

অভিযোগ, যাত্রার মধ্যেই কিছুটা দূরে মদন রুইদাসের গাড়ি আটকে দেন প্রদীপ লোধার অনুগামীরা, তৈরি হয় বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি। এই ঘটনায় একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন এই দুই নেতা। প্রদীপ লোধার অভিযোগ, “মঞ্চে সাংসদের পাশের চেয়ারে জল থাকায় তা মুছতে গিয়েছিলাম, মদন রুইদাস চেয়ারটা টানতেই আমি পড়ে যাই, আমার মুখে সপাটে ঘুষিও মারেন উনি। আমি কিছু না বলেই মঞ্চ থেকে নেমে আসি। পুরো ঘটনাটি সাংসদের সামনেই হয়েছে।” ওনার অপরদিকে মদন রুইদাসের অভিযোগ, “বৃষ্টি হওয়ায় মঞ্চের চেয়ারগুলি মুছতে গিয়েছিলাম, সাংসদের সামনেই প্রদীপ লোধা ছিলেন, সেইসময় তিনি আমাকে ধাক্কাধাক্কি করেন, কিল চড় ঘুসি মারতে থাকেন। পরে আমার গাড়ি আটকে আমাকে মারধর করার চেষ্টা করেন তাঁর অনুগামীরা। পুরোটাই পূর্ব পরিকল্পিত ছিল ওনার।” যদিও এই ঘটনায় তৃণমূল জেলা সভাপতি অজিত মাইতি বলেন বিজেপি কোনো রাজনৈতিক দলের ভূমিকা দেখাতে পারছেনা বা পারবেও না, কতগুলো লোক স্বার্থের জন্য ও আর্থিক লালসায় ক্ষমতা ভোগ করার জন্য বিজেপিতে এসেছে তাদের মধ্যে স্বার্থের সংঘাত শুরু হয়েছে তাই বিজেপি অচিরেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে শেষ হবে শুধু তাই নয় তিনি আরো বলেন আগামী দিনের লড়াই আরো বাড়বে, যাত্রা চলাকালীন দুই নেতার গণ্ডগোলের পর রাউলিয়ায় একটা আশ্রমের সামনে যাত্রাবিরতি ঘটিয়ে দুপুরের আহার সারেন সাংসদ সহ বিজেপি নেতৃবৃন্দ।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here