চিচিংফাঁকে ফিরছে আর্থিক স্বচ্ছলতা সুরশার মহিলাদের

0
72

তপন চক্রবর্তী,উত্তর দিনাজপুরঃ

শুধুমাত্র স্বামীর একার রোজগারের উপর নির্ভর করে আর থাকতে চান না গ্রামের মহিলারাও।নিজেরাই নিজেদের পায়ে দাঁড়িয়ে সংসার আর্থিকভাবে স্বচ্ছলতা আনতে চান।তাই উত্তর দিনাজপুর জেলার কালিয়াগঞ্জ ব্লকের সুরশা গ্রামের মহিলারা এবার তৈরি করছে মাছ ধরার ডেরকি। (চিচিংফাঁক) অবাক হয়ে যাচ্ছেন নাকি?এটা আবার কি? না না এটা আসলে এক ধরনের ফাঁদ।যেখানে ঢুকলে বেরোনো মুস্কিল।তবে সবার ক্ষেত্রে এই ফাঁদ কিন্তু প্রযোজ্য নয়।এই ফাঁদ হচ্ছে শুধুমাত্র নদীয়ালি মাছেদের ধরার জন্য। গ্রাম্য ভাষায় ডেরকি নামে পরিচিত,অর্থাৎ চিচিংফাঁক বানিয়ে এখন এই সুরশা গ্রামের মহিলারা তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে সকাল থেকে সন্ধ্যা । সংসারের কাজের ফাঁকে ফাঁকে এই গ্রামের মহিলারা বাড়ির সামনে তৈরি করে চলছে মাছ ধরার অভিনব এক পন্থা ডেরকি( চিচিংফাঁক)। যা দিয়ে শুধুমাত্র ধরা যাবে মাছ।

ডেরকি তৈরি চলছে।নিজস্ব চিত্র

যার চাহিদা এখন আকাশচুম্বী। সুরশা গ্রামের মহিলারা জানান,তারা এই চিচিংফাঁক তৈরি করে চলছে বেশ কিছুদিন ধরে।এই ডেরকি তৈরি করে তারা এখন তাদের সংসারে পূর্বের তুলনায় অনেক গুণ স্বচ্ছলতা ফিরে পেয়েছেন। মহিলারা বলেন এই দুর্মূল্যের বাজারে স্বামীর একার উপর আর সংসার চলে না।তাই বাড়িতে সংসারের কাজের ফাঁকে ফাঁকে এই চিচিংফাঁক অর্থাৎ ডেরকি বানিয়ে চলছে তারা।মহিলারা জানান তাদের তৈরী চিচিংফাঁক এর চাহিদা সারা বছর থাকে কারণ বর্ষাকালে যেমন প্রবল স্রোতের মাঝখানে চিচিংফাঁক পাতা থাকে নদীআলী মাছ ধরতে।তেমনি গ্রীষ্মের সময় শুকিয়ে যাওয়া খাল বিল থেকে নদীআলী মাছ ধরতে এর বিকল্প নেই।তাই দিনরাত পরিশ্রম করে তারা গ্রামের বিভিন্ন জায়গা থেকে বাঁশ ও সুতা সংগ্রহ করে এই চিচিংফাঁক তৈরি করে চলছে।গ্রামের মহিলারা আরও জানান এই ডেরকি বিক্রি করে তাদের ভাল আয় হয়।যা দিয়ে তাদের সংসারে অনেকটা স্বচ্ছন্দ ফিরে এসেছে।

আরও পড়ুনঃ হস্তশিল্প মেলায় শিল্পীদের আশার আলো

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here