সুদীপ পাল, বর্ধমানঃ
আতঙ্কে ভুগছেন বাসিন্দারা। মাটির ফাটল দিয়ে ধোঁয়া বের হচ্ছে। ইসিএলের কাজোড়া এরিয়ার মাধবপুর খোলামুখ এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে বাসিন্দাদের মধ্যে। খোলামুখ খনির পাশেই হরিশপুর গ্রাম। এক কিলোমিটার দূরে ধান্ডাডিহি গ্রাম। দুই গ্রামের বাসিন্দারা বলছেন, এলাকায় মাঝেমধ্যেই ধোঁয়া বের হয়। তার পরিমাণ বেড়ে গেলে বিপদে পরতে হয় তখন।
জানা যায়, হরিশপুর গ্রাম ১৯৯৮ সালে পুনর্বাসনের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছিল। তারপরে আর প্রক্রিয়া বিশেষ এগোয়নি। অথচ নিয়মিত ধোঁয়া বের হচ্ছে তাতে শ্বাসকষ্ট হচ্ছে বাসিন্দাদের। খনির কাছেই রয়েছে হরিশপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শঙ্কর চৌধুরী দাবি করেন, ‘কর্তৃপক্ষ বারবার মাটি দিয়ে ধোঁয়া বেরোনোর মুখ ভরাট করলেও তার কোনো স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না। ধান্ডাডিহি গ্রামকেও ধসপ্রবণ এলাকা হিসেবে পুনর্বাসনের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। গ্রামের সীমানা মাঠের একাংশ ধসে গেছে। বাসিন্দারা বলছেন, বছর আটেক আগে নতুন করে ঠিকা সংস্থার মাধ্যমে মাধবপুর খোলামুখ খনি চালু করে ইসিএল। কিন্তু আশেপাশের বাসিন্দাদের পূনর্বাসনের কি হবে সে নিয়ে বিশেষ চিন্তা করা হয়নি।
ইসিএলের সিএমডি কারিগরি সচিব নীলাদ্রি রায় বলেন, মাধবপুরে ভূগর্ভস্থ খনির উপরিভাগ যাতে ধসে না যায় তা নিশ্চিত করতে ভূগর্ভে কয়লার স্তম্ভ ছেড়ে রাখা হয়েছে। কিন্তু কেন বারবার ধোঁয়া বেরোচ্ছে? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, কয়লার স্তম্ভ ছেড়ে রাখা হলেও পরে সমীক্ষা করে দেখা যায় বা কোন ফাটল দিয়ে বাতাস ভূগর্ভে ঢুকে পড়ার জেরে কয়লার স্তম্ভে আগুন ধরে গেছে। কিন্তু এভাবে ধোঁয়া বের হয় কেন?
আরও পড়ুনঃ এনআরসি ইস্যুতে তৃণমূলের বিক্ষোভ মিছিল
এর উত্তরে নীলাদ্রিবাবু জানান, মাটির নিচে যেহেতু আগুন রয়েছে, উপরের স্তর আলগা হয়ে গেলে অক্সিজেন ঢুকে নিচে চাপা আগুন বাইরে বেরিয়ে আসে এবং তখন ধোঁয়া হিসেবে বের হয়। এলাকার বাসিন্দারা পুনর্বাসনের দাবি জানাচ্ছেন। এই ভাবে বসবাস করতে গিয়ে তাঁদের শ্বাসকষ্ট হচ্ছে এবং আতঙ্কেও থাকতে হচ্ছে। এর স্থায়ী সমাধান চাইছেন বাসিন্দারা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584