সিমা পুরকাইত,দক্ষিন ২৪ পরগনাঃ
বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে চলছে সরকারী সর্তকতা জারি।নির্দিষ্ট সময়ের আগে ট্রলার জলে নামলে মোটা টাকা জরিমানা।ছোটো খোকা ধরলে জেল জরিমানা জরজরিত।ছোটো ফাঁসের জ্বাল ব্যবহার করলে প্রশাসনিক ভাবে ব্যবস্থা। এসবই চলতো সাগরের ইলিশ ঘিরে।সবই কঠোর ব্যবস্থা থাকলেও প্রকৃতির কাছে হার মানতে হলো সবাইকে।
বর্ষা না আসাই প্রথম ট্রলারে ক্ষতির মুখে পড়ল মাছ ব্যবসায়ীরা।মৌসুমী বায়ুর অভাবে সুপার ফ্লপ মরশুমের প্রথম ইলিশ অভিযান।সামান্য কয়েক কেজি ইলিশ জালে পুরেই ফিরতে হচ্ছে দক্ষিন ২৪ পরগনার কয়েক হাজার ট্রলারকে।
মূলতঃ গভীর সমুদ্রে নিম্নচাপ ও ঝড়ো হাওয়ার দেখা না পাওয়ার কারনে। ট্রলার গুলি উপকূলে ফিরতে শুরু করেছে।বর্ষা দেখা না মেলায় অনেকে আবার প্রথম ট্রিপে যাননি রুপলি ফসল জ্বালে তুলতে।আর সে কারনেই ইলিশের মরশুমের প্রথম ট্রিপেই লোকসানে পড়েছেন মৎসজীবীরা।
আরও পড়ুনঃ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নয়ানজুলিতে উল্টে গেল ইলিশ ভর্তি গাড়ি
মরশুমের প্রথম ৩ দিনে বহু ট্রলার উপকূলে ফিরে এলেও দেখা নেই বঙ্গোপসাগারের রুপলি শস্য খোকা ইলিশের।গোদের উপর বিষ ফোঁড়ার মতো দেখা নেই মৌসুমী বায়ুর।ঝাঁকের ইলিশ তাই ফাঁকি দিয়ে গেল মরশূমের প্রথম অভিযানে।উত্তর ছুঁয়ে বর্ষা কয়েকদিনেই দক্ষিন ভাসাবে ঠিকিই।
কিন্তু মরশুমের প্রথম ক্ষতি।তার ধাক্কা সামলাবে কে! ট্রিপে এক একটি ট্রলারে পনেরো থেকে সতেরো জন মৎসজীবী যায় মাছ ধরতে।তাদের খাওয়া থেকে ট্রলারের খরচ প্রায় প্রতি ট্রিপে দু’লক্ষ টাকা।
মরশুমের প্রথম ধাক্কায় কপালে ভাঁজ কাকদ্বীপ ,নামখানা,বকখালি,ডায়মন্ড হারবার ,সাগরদ্বীপ,পাথরপ্রতিমা ,রায়দিঘি , ছোট বড় আরতদার থেকে মাছ ব্যবসায়ীদের।প্রাক বর্ষা দুদিন আগে দেখা গেলেও পুরো বর্ষা আসতে সময় লাগবে জুলায়ের প্রথম সপ্তাহে।সেই আশা নিয়েই এখন রুপোলি শস্যের ডানায় অঙ্ক কষতে ব্যস্ত দক্ষিন সুন্দরবন ও সুন্দরবনের মৎসজীবীরা ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584