সিমা পুরকাইত, দক্ষিণ ২৪ পরগনাঃ
নিষেধাজ্ঞার দিন শেষ। এবার পাড়ি দেবার পালা, রুপলি শস্য ইলিশ ধরতে। বর্ষা নামলে ডান চোখ নাচে মৎসজীবীদের। চলতি বছরে আমপানের সঙ্গে করোনায় বিধ্বস্ত করে তুলেছে মৎসজীবী পরিবারদের। দিকে দিকে বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা।
ইতিমধ্যে চাওয়া পাওয়ার চাহিদা বেড়েছে মৎসজীবী মহলে। সমস্ত অবসান কাটিয়ে ইলিশ ধরতে পাড়ি দেবে এবারে মৎসজীবীরা। কাকদ্বীপ ,নামখানা,বকখালি,সাগরদ্বীপ ,পাথরপ্রতিমা ,ডায়মন্ডহারবার ,রায়দিঘি সর্বত্র এখন জোর কদমে চলছে ট্রলার ছাড়ার প্রস্তুতি।
কোথাও মা গঙ্গাকে পুজো দিচ্ছে কেও, কোথাও আবার কেও কেও বরফ ,তেল, খাবার সরঞ্জাম তুলে নিচ্ছে ট্রলারে। এবার শুধু যাওয়ার অপেক্ষা। সময় মত বর্ষা ঢুকেছে বঙ্গে। অনিয়মিত মাছ ধরা বন্ধ হয়েছে। ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ইলিশ ধরা দেবে মৎসজীবীদের জালে, এমনই আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ এবার গঙ্গারামপুরে শক্তি বাড়ল বিজেপির
যদিও করোনা নিয়ে সংশয় থেকে যাচ্ছে মৎসজীবীদের মনে। ১ ট্রলার প্রতি ১৬ থেকে ১৮ জন করে মাছ ধরা যাবে না, তা ইউনিয়নের তরফে জানানো হয়েছে। মৎসজীবীদের দাবি, ১৬ জনের কম হলে ট্রলারে মাছ শিকার করা মুশকিল হয়ে যাবে। তাদের একাংশের দাবি শারীরিক পরীক্ষা করে পাঠানো হোক ট্রলার।
আরও পড়ুনঃ ঝাড়গ্রামে স্থানীয়দের উদ্যোগে রক্তদান শিবির
আবার মাছ নিয়ে উপকূলে আসলে শারীরিক পরীক্ষা করার পর প্রবেশ করানো হোক লোকালয়ে। যাতে পেটও বাঁচবে এবং সামাজিক দূরত্ত্ব বজায় রেখে রোগ প্রতিরোধও করা যাবে। যদিও মৎসজীবী মহলের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন কাকদ্বীপ ফিসারম্যান ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন সম্পাদক বিজন মাইতি।
থার্মাল স্ক্যানিং এর পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ত্ব মেনে ট্রলার পাঠানো যাতে যায় তারই আর্জি রেখেছেন তিনি। হাজার হাজার ট্রলার পারি দেবে সমুদ্রে। তবে রুপলি শস্য মিল্লে তা বাজারদরের সাথে পাল্লা দিয়েই বাঙালির পাতে পড়বে বলে মনে করছে মৎসজীবী মহল।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584