নিজস্ব সংবাদদাতা,মুর্শিদাবাদঃ

ভোট আসে ভোট যায়। ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া পদ্মা নদীর চরে বসবাসকারীদের অবস্থার কোনো পরিবর্তন হয় না। বাংলাদেশ লাগোয়া উদয় নগর চর কলোনি, হিন্দু কলোনি, টলটলি পরাস পুর চরের চিত্রটা একই।

বছরের পর বছর এই দুর্দশার মধ্যে দিয়েই দিন গুজরান এই চরের বাসিন্দারা। নেই কোনো রাস্তা ঘাট, নেই বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা। এমনকী শৌচালয় এরও কোনো ব্যবস্থা এই চর এলাকায় নেই। তার উপর যদি বন্যা হয় তাহলে ভরাডুবি হন এখানকার বাসিন্দারা। বন্যার জলে আরো বেশি সমস্যার মধ্যে পড়েন তাঁরা। স্থানীয়দের বক্তব্য, প্রতিশ্রুতি ছাড়া কোনওদিন কোনো কিছু পাননি তাঁরা। বন্যা পরিস্থিতির কোনও উন্নতিই হয়নি এই চর এলাকাগুলিতে।

তাদের অভিযোগ, এই জলের কারণে অনেক সমস্যার মধ্যে আছি, পরিবারে ছোটো ছোটো বাচ্চা আছে তাদের কতক্ষন ধরে রাখবো, ঘরের বাইরে গেলেই বিপদ, তার উপরে সাপের উৎপাত বেশি হয়ে পড়েছে। রাতে কারোর কোনো সমস্যা হলে বিএসএফ জওয়ানদের সাহায্য ছাড়া কোনোভাবেই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কোনো ব্যবস্থা করা যায় না এই চর এলাকাগুলিতে।

আরও পড়ুনঃ খবরের জের, বন্যা প্লাবিত সিতানগর গ্রাম পরিদর্শনে এলেন বিডিও সহ ব্লক আধিকারিক
ওই চর এলাকাগুলিতে এই বন্যা পরিস্থিতি নতুন নয়। সেখানকার বাসিন্দাদের সমস্যাও নতুন নয়। এখন প্রশ্ন হল তাহলে এতদিন এই বিষয়টা সরকারের নজরে এল না কেন? পঞ্চায়েত সদস্যরা এ বিষয়ে এতদিন কেন কোনও ব্যবস্থা নেননি? এর উত্তর এখনও মেলেনি।

স্থানীয় ঘোষপাড়া অঞ্চলের পঞ্চায়েত সদস্য রাকিবুল ইসলাম বাবু জানান যে, আমরা আমাদের উচ্চ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছি তারা সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ বাসে অতিরিক্ত ভাড়া নিলে নেওয়া হবে কড়া পদক্ষেপ, নির্দেশ রাজ্য পরিবহণ দফতরের
এখন শুধু সাহায্যের অপেক্ষায় বসে আছে চরের কয়েকশো পরিবার। যদি এভাবে জল বাড়তে থাকে তাহলে তাদের অবস্থা আরও ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করবে। এরপর গবাদি পশু থেকে শুরু করে নিজেদের খাবারের ব্যবস্থা না করতে পারলে অনাহারে দিন যাপন করতে হবে ওই বন্যা কবলিত চর এলাকার অসহায় মানুষগুলোকে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584