শ্যামল রায়,কালনাঃ
নামে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল কিন্তু সামান্য বৃষ্টিতেই জল থৈ থৈ অবস্থা কালনা মহকুমা হাসপাতালের নার্স টেকনিশিয়ান চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের আবাস।এই আবাসে থাকা আবাসিকদের অভিযোগ যে গত রাত থেকেই জল ঢুকে পড়ে জলের মধ্যেই সমস্ত কাজকর্ম করতে হচ্ছে তাদেরকে।অভিযোগ যে,কয়েক মাস আগে থেকেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছিল এই আবাসের দুরবস্থার কথা।বর্ষা এসে পড়ায় সামান্য বৃষ্টিতেই জল থইথই কোয়ার্টার। হাঁটু জলে রান্না থেকে শুরু করে সমস্ত কাজ সারতে হচ্ছে নার্স ও হাসপাতালের সমস্ত বিভাগের কর্মীদের।
যদিও হাসপাতালের সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বড়াই জানিয়েছেন যে দীর্ঘদিন ধরেই হাসপাতালে ওই সমস্ত জায়গা খুবই নিচু। কিছু কিছু জায়গা আমরা মাটি ভরাট করে উঁচু করতে পারলেও এখনো হাসপাতালে পুরনো জায়গাগুলো নিচু অবস্থায় থাকার কারণে সামান্য বৃষ্টিতেই জল ঢুকে পড়ে। এছাড়াও ড্রেনের জল নিকাশি ব্যবস্থা আর সেরকম উন্নতি ঘটেনি ফলে এই অবস্থা।শুধু তাই নয় হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে যাতায়াত করতে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হয় হাসপাতালের চিকিৎসক থেকে নার্স এবং সমস্ত বিভাগের কর্মীদের।
কৃষ্ণচন্দ্র বাবু প্রতিবেদককে আরো জানিয়েছেন যে, জল জমলেও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না ।জল বের করার একটা উদ্যোগ আমি অবশ্যই নেব।
এই হাসপাতালের মধ্যেই তৈরি হয়েছে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। শিশুবিভাগ,গাইনি বিভাগ অপরেশন ও নাক কান গলা প্রভৃতি বিভাগ এই হাসপাতালেই চালু হয়ে আছে। তাই চিকিৎসকদের পুরনো হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে থেকে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসক থেকে নার্স সকলকেই যাতায়াত করতে হচ্ছে জল পেরিয়ে। এছাড়াও ব্লাড ব্যাংক সহ এক্স-রে বিভাগ আলাদা আলাদা বিল্ডিংয়ে থাকায় বিভিন্ন জায়গায় জল জমে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে হাসপাতালের সাথে যুক্ত সবাইকেই।
হাসপাতালে আসা রোগী এবং রোগীর আত্মীয়দের দাবি দ্রুত হাসপাতালে জল নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতি ঘটানো হোক নিচু জায়গা উঁচু করার উদ্যোগ গ্রহণ করুক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আজ এই প্রসঙ্গে হাসপাতাল সুপার জানিয়েছেন যে, ইতিমধ্যে একটি প্রকল্প তৈরি করে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে। নতুন আবাসন তৈরি হবে সেখানে নার্স চিকিৎসক অন্যান্য কর্মচারী থাকতে পারবেন। আশা করছি নতুন আবাসনের জন্য অর্থ বরাদ্দ খুব শীঘ্রই হয়ে যাবে তারপরে কাজ শুরু হবে। হাসপাতালের পরিকাঠামোর উন্নতি তে তিনি সমস্ত রকমের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন বলে জানিয়েছেন। তবে আবাসনে থাকা নার্স রুম্পা মন্ডল বর্ণালী মাঝি সমাপ্তি দাস মৌমিতা দে মধুশ্রী কুন্ডু অনন্যা বাগ প্রমুখের অভিযোগ যে, কোয়ার্টারের মধ্যে জল ঢুকে পড়ায় সাপ ব্যাঙ নানান ধরনের পোকার উপদ্রব বেড়েছে। তাই একটা আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হচ্ছে আমাদের। রাতের দিকে ঘুমোতে ভয় হয়। খাটের নিচে জল থৈ থৈ করলে কি আর ঘুম হয়?
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584