মনিরুল হক,কোচবিহারঃ
প্রাক বর্ষাতেই জলমগ্ন বিদ্যালয় চত্বরে। ব্যাহত পঠন পাঠন ব্যবস্থা। দিনহাটা ১নং ব্লকের ভেটাগুড়ি লালবাহাদুর শাস্ত্রী বিদ্যাপীঠে অল্প বৃষ্টিতে জল জমে যাচ্ছে। এর ফলে পড়ুয়ারা ক্লাসে যেতে পারছে না। শিক্ষক-শিক্ষিকারা একই অবস্থার মধ্যে পরেছেন। এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে অভিভাবকদের। স্কুল পড়ুয়ারা এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে আন্দোলন করেন। শুধু স্কুল চত্বরেই নয়, ক্লাস রুমের ভেতরে, মিড-ডে-মিলের রান্না ঘরেও অবস্থা ভালো না তা নিয়ে ক্ষুব্ধ ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকরা।
কোয়েট এই স্কুলে প্রায় হাঁটু পরিমানে জল জমে যাওয়ায় বিদ্যালয়ের নিকাশি ব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।
গ্রীষ্মের ছুটির পর ক্লাস শুরু হতে না হতেই পঠন পাঠনের ক্ষেত্রে এই বাধায় সিলেবাস সম্পূর্ণ না হওয়ার আশঙ্কা করছে উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের ছাত্র ছাত্রীরা।
এদিন এবিষয়ে স্কুলের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র চিন্ময় দেবনাথ(গোবিন্দ)বলেন,“স্কুলের মধ্যে এতটাই জল জমেছে যে গতকাল থেকে আমরা স্কুলে ঠিক মত ঢুকতে পারচ্ছি না। হাঁটুর সমান জল জমেছে।শুধু তাই নয় স্কুলের শিক্ষকদের রুমে জল জমে রয়েছ। মিড-ডে-মিলের রান্না হলেও তা ছাত্রছাত্রীরা খেতে পারছেন। আমাদের ক্লাসের ১৩০ জন ছাত্রছাত্রী থাকার পরেও আজ ক্লাসে মাত্র ৪০ জনের মত স্কুলে আসে। স্কুলে জল জমার কারণে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে আসছে না।”
এ বিষয়ে স্কুলের পরিচালন কমিটির সভাপতি প্রদীপ চন্দ্র বর্মণের সাথে যোগাযোগ চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুনঃ ঝড়ে উড়ে গেছে চাল, বৃষ্টিতে বন্ধ মিড-ডে মিল
প্রসঙ্গত, গতকাল ভেটাগুড়ি লালবাহাদুর শাস্ত্রী বিদ্যাপীঠে হাঁটু পর্যন্ত জল জমার কারনে ছাত্রছাত্রীরা পথ অবরোধ করেন। প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে পথ অবরোধ চলার পর মহকুমা বিদ্যালয় পরিদর্শকের এক আধিকারিক ছুটে এসে ছাত্রছাত্রীদের সাথে কথা বলে এই সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিলে ওই অবরোধ তুলে নেওয়া হয়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584