নবদ্বীপে এক বছরের শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য

0
118

শ্যামল রায়,নবদ্বীপঃ

নবদ্বীপে এক বছরের এক শিশু সন্তানের মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।স্থানীয় বাসিন্দা ও নবদ্বীপ থানা সূত্রে জানা গিয়েছে যে, মৃত শিশুর নাম রঞ্জিত রাজবংশী।এলাকায় প্রশ্ন উঠেছে এই এক বছরের শিশুকে কেন মৃত অবস্থায় পাওয়া গেলো অথবা কিভাবেই বা মারা গেল এই শিশুটি? শিশুটির মেরে ফেলার পিছনে কার হাত?কেনইবা মেরে ফেলা হয়েছে এই প্রশ্ন উঠেছে এলাকায়।তবে নবদ্বীপ থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক সুবীর কুমার পাল জানিয়েছেন যে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ এখনও জানা যায়নি তবে দুই জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্ত।
জানা গিয়েছে যে শিশুটির বাবা রাজেশ রাজবংশী মা সুলতা রাজবংশী।সুলতা রাজবংশী অন্যের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ ও অন্যান্য কাজ করে জীবিকা অর্জন করে থাকে। শনিবার শিশুটি দাদু দিদিমার কাছে রেখে কাজে বেরিয়ে যায় সুলতা।
বিকেলে বাড়িতে এসে জানতে পারে তার এক বছরের শিশুটির মৃত্যু হয়েছে।বাড়ি সংলগ্ন একটি  ডোবায় মৃত অবস্থায় পড়ে ছিল শিশুটি।পুলিশ খবর পেয়ে মৃত শিশুকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

মৃত রঞ্জিত রাজবংশী।পরিবারের কাছ থেকে প্রাপ্ত ছবি।

তবে এলাকায় গুঞ্জন যে  সুলতার মা জবা ঢালির সাথে বহিরাগত এক পুরুষের অবৈধ সম্পর্কে জড়িত থাকার কারনে মাঝে মধ্যেই বাড়িতে অশান্তি হতো । শনিবারও মা ও মেয়ের মধ্যে প্রচণ্ড অশান্তি বাধে সকালের দিকে। এই সন্তানকে ঘিরে একটা সমস্যা ছিল বাড়িতে এমনটাই অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে পাওয়া গিয়েছে।নবদ্বীপ থানার পুলিশ জবা ঢালী ও প্রেমিক সুনীল বারইকে  জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে গিয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ যে জবার সঙ্গে সুনীলের একটা অবৈধ সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে।
এই নিয়ে বাড়িতে মাঝে মধ্যে অশান্তি হতো। অনেকেই মনে করছেন যে অশান্তির কারণ এই শিশুটির উপর রাগ বশত কোনরকম মারধর করার ফলেই শিশুটির মৃত্যু ঘটতে পারে।ওই দাদু  বা দিদিমার উপর মৃত্যুর জন্য কে কতটা  প্রশ্ন উঠেছে‌।এলাকার মানুষ দাবি করেছে শিশু মৃত্যুর ঘটনার প্রকৃত তদন্ত হোক এবং দোষীরা ধরা পড়ুক।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here