নিজস্ব সংবাদদাতা,পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
গতকাল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গোয়ালতোড় থানার হাঁড়িমারা গ্রামে মাটি খুঁড়তেই মাটির নিচ থেকে বেরোচ্ছে সোনা ও রুপোর কয়েন,আর এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই আজ সকাল সকাল আমাদের প্রতিনিধি বেরিয়ে পড়লো গুপ্তধনের কিনারা খুঁজতে,জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে আঁকাবাঁকা পথ পেরিয়ে ছোট্ট একটি গ্রাম নাম হাঁড়িমারা,সেখানে পৌঁছতেই দেখা গেল সে বাড়িটি ঘিরে যথেষ্ট ভিড় জমিয়েছে গ্রামবাসীরা,এরপর ওই গুপ্তধনের রহস্য খুঁজে বার করতে তাঁর পরিবারের এক কর্মকর্তার নীল মোহন সিংহ মহাপাত্রর সঙ্গে দেখা করল আমাদের প্রতিনিধি।
আরও পড়ুনঃ মাটির নীচে সোনার কয়েন কুড়াতে হুড়োহুড়ি
নীল মোহনবাবুর বক্তব্য “আমাদের পূর্ব পুরুষ গঙ্গা নারায়ণ সিংহ মহাপাত্র উনি বড় জমিদার ছিলেন,আর সেই সময় নাকি প্রচুর ডাকাতি হতো গোটা এলাকায়,তাই টাকাকড়ি ও সোনাদানা লুকিয়ে রাখতে হতো ডাকাতের ভয়ে,ঠিক একই ভাবে গঙ্গা নারায়ণ সিংহ মহাপাত্র তাঁর টাকা কড়ি একটি মাটির হাঁড়িতে করে দেয়ালে লুকিয়ে রেখেছিল।”
এর পরেই দেখা মিলল ওই বাড়ির কর্মচারী মথুর সাহার সঙ্গে,মথুর বাবুর বয়স ৮০ বছর,মথুর বাবু বলেন গঙ্গা নারায়ণ মহাপাত্রকে জানতেন না তিনি ওনার মৃত্যুর পরে ওনার ছেলের সময়েই ছিলেন, বারো বছর বয়স থেকে ওনাদের বাড়িতে কাজ করছেন।
মা ঠাকুমার কাছে গল্প শুনেছেন গঙ্গা রামবাবুর অনেক জমি জায়গা ছিল তখনকার দিনে এবং সাধারণ চাষিরা দাদন নিয়ে চাষ করত তাদের জমিতে।
এর পর যা ফসল উঠত তাঁর ভাগ দিতে হত জমিদারকে,এভাবেই চলত তখনকার দিনের জমিদারি প্রথা,আবার সেই সময় ডাকাতের ভয়ে দেওয়ালের মধ্যে লুকিয়ে রাখতে হতো সোনা দানা ও টাকা কড়ি।সেই বাড়ি ভাঙতেই বেরিয়ে পড়ল সেই লুকনো গুপ্তধনের হাঁড়ি।
এরপর বাড়ির অন্যতম সদস্য গৌতম সিংহ মহাপাত্র গৌতমবাবু জানান দীর্ঘদিন ধরেই ওই মাটির বাড়িটি ভগ্ন অবস্থায় পড়েছিল এবং সেই মাটির বাড়ির দিকে ভেঙে নতুন করে পাকা বাড়ি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়ে পুরনো বাড়িটি ভাঙতেই বেরিয়ে আসে এক গুপ্তধনের হাঁড়ি।
তবে পরিবারের সদস্যদের এখনও বিশ্বাস আরও খোঁজ করলে হয়তো মিলবে রুপোর কয়েন,সেই মতো চেষ্টা ছাড়েনি তারা,আজ সকালে আবার পুনরায় চেষ্টা চালিয়ে তিনটি কয়েন পেল পরিবারের মানুষজন,তবে গৌতমবাবুর বক্তব্য আবার নতুন করে জেসিপি দিয়ে খোঁজা হবে এই গুপ্তধন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584