নিজস্ব সংবাদদাতা,মালদহঃ
মালদা মেডিক্যাল কলেজ থেকে শিশু চুরির ঘটনা প্রকাশ্যে এলো।ঘটনার তিন বছর পর উদ্ধার হল এক শিশু। চুরি করা শিশু রাখার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক মহিলাকে। পঁচিশ হাজার টাকার বিনিময়ে মালদা মেডিক্যাল কলেজের এক আয়ার কাছে ওই শিশুটিকে তিনি কেনেন বলে দাবি করেছেন ধৃত মহিলা।এদিকে গোটা ঘটনায় এক হাতুরে চিকিৎসকের নাম উঠে আসছে।তাঁর খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। মালদহ থানার ধুমাদিঘীর বাসিন্দা সোনামুনি কিস্কু ২০১৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারী মালদা মেডিক্যাল কলেজে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। বিয়ের পাঁচ বছর পর কন্যা সন্তান হয় সোনাময়ী ও মন্টু বেসরা।
জন্মের পর আলাদা কেবিনে ছিল মা ও শিশু। তিনদিনের মাথায় ১৫ ফেব্রুয়ারী হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয় সোনামনিকে কিন্তু ছুটির সময় উধাও হয়ে যায় সদ্যজাত শিশু। ঘটনায় একযোগে তদন্তে নামে মালদহ থানা,ইংরেজবাজার থানার পুলিশ। কয়েকদিন পরে হবিবপুরের কানতুর্কায় সেফালী মুর্মু রবিদাসের কাছে ওই শিশুটি রযেছে বলে খবর আসে কিন্তু সেখানে পৌছতেই শিশু নিয়ে গা ঢাকা দেন শেফালি মুর্মু। এরপর থেকে তাঁর খোঁজ চলছিল। শেষ পর্যন্ত ঘটনার প্রায় তিন বছর পর গতকাল দক্ষিন দিনাজপুর জেলার তপনে খোঁজ মেলে চুরি যাওয়া শিশু এবং শেফালির। পুলিশ নিয়ে সেখানে হানা দেন ওই শিশুর বাবা মন্টু বেসরা। আজ দুপুরে ওই শিশু ও মহিলাকে আনা হয় ইংরেজবাজার থানায়। চোরাই শিশু নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন ওই মহিলা।
এদিকে তিন বছর পর নিজের বাবা মাকে চিনতে পারছে না ওই শিশু। ফলে আনন্দের মধ্যেও বিষাদগ্রস্ত মন্টু বেসরা ও তাঁর পরিবার।গোটা ঘটনার সঙ্গে হাসপাতালের কোনো আয়া বা অন্য কেউ জড়িত থাকলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন, মালদা মেডিক্যাল কলেজের এম,এস,ভি,পি অমিত দাঁ।
আরও পড়ুনঃ কোচবিহারে পুলিশ পিটিয়ে চম্পট দুই বাংলাদেশি বিচারাধীন বন্দি
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584