পর্যটনের উন্নয়নে কাটোয়ায় বরাদ্দ পাঁচকোটি

0
125

শ্যামল রায়,কাটোয়াঃ

কাটোয়া মহকুমার অতি প্রাচীন গুরুত্বপূর্ণ তীর্থক্ষেত্র কেতুগ্রামের অট্টহাস সতীপীঠ পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করতে পর্যটন দফতরের তরফ থেকে বরাদ্দ করা হয়েছে অর্থ।
সোমবার স্থানীয় বিধায়ক শেখ শাহনেওয়াজ জানিয়েছেন যে পূর্ব বর্ধমান জেলার দুটি তীর্থক্ষেত্র এবং দুটি বিপ্লবী পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে।
এর মধ্যে রয়েছে কেতুগ্রামের তীর্থক্ষেত্র সতীপীঠ।মোট জেলার দুটি জন্মভিটে ও দুটি তীর্থক্ষেত্রে মিলে মোট সোয়া পাঁচকোটি টাকা অর্থ বরাদ্দ হয়েছে।
এই টাকা দফায় দফায় এসে কাজ শুরু হবে।
ইতিমধ্যে বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দিরে কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে এবং সতীপীঠ এলাকাতেও কাজ শুরুর পথে।কেতুগ্রামের সতীপীঠের সংস্কার ও পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছে প্রায় দুই কোটি টাকা।
এই টাকায় গড়ে তোলা হবে পর্যটকদের থাকার জন্য গেস্ট হাউজ এবং রাস্তাঘাট এবং মন্দির সংস্কারের কাজ।
এছাড়াও বর্ধমান শহরে অবস্থিত সর্বমঙ্গলা মন্দির প্রাঙ্গনকে দর্শনীয় স্থান হিসেবে তুলে ধরার জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১ কোটি ৭৪ লক্ষ টাকা।এছাড়াও খণ্ডঘোষের ওয়ারী গ্রামের বিপ্লবী বটুকেশ্বর দত্তের জন্মভিটের উন্নয়নে পঁচাশি লক্ষ টাকা এসেছে।এই জায়গাটিকে সংরক্ষন করে গড়ে উঠবে মিউজিয়াম এবং একটি লাইব্রেরী।এছাড়াও রায়নার সুবলদহে  বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর জন্ম ভিটের উন্নয়নে বরাদ্দ হয়েছে সাতান্ন লক্ষ টাকা।এই টাকা আয় সংরক্ষণ এবং মিউজিয়াম ও একটি লাইব্রেরী গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে।
তবে জেলার ঐতিহ্য পূর্ণ প্রাচীন দুটি তীর্থক্ষেত্র এবং দুই বিপ্লবীর বাঁচিয়ে রাখার জন্য পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ রাজ্য পর্যটন দফতর নেওয়ায় খুশি এলাকার মানুষ।এছাড়াও কাটোয়া শহর জুড়ে একাধিক তীর্থ ক্ষেত্র এবং সাহিত্যিকদের জন্মভিটে রয়েছে সে সব জায়গাতে ও সংস্কার এবং পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় করতে দাবি জানিয়েছেন কাটোয়া মহকুমার ইতিহাসবিদরা।
তবে কেতুগ্রামের অট্টহাস সতীপীঠকে ঘিরে যে কর্ম উদ্যোগ শুরু হবার পথে খুশি এলাকার মানুষ।

আরও পড়ুন: সরকারী প্রকল্প জ্ঞাতার্থে ট্যবলোর উদ্বোধন মালদহে

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here