পিয়া গুপ্তা ,রায়গঞ্জঃ
উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের সরিয়াবাদের মহিলারা বিড়ি বাঁধতে পারে দক্ষতার সাথে ।শিশু সন্তানদের কোলে নিয়েই বিড়ি বাঁধেন ওঁরা । ওরা জানেন না সন্তানদের দেহে প্রতিনিয়ত ঢুকছে কি মারাত্মক ক্ষতিকর তামাকের বিষ। তবুও উপায় কি? সংসার প্রতিপালন ও ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া শেখাতে হবে তো ওদের । তাই এভাবেই নিজেদের অজান্তে ক্ষতি করে চলেছেন শিশু স্বাস্থ্য।
মুর্শিদাবাদ, মালদা এবং উত্তর দিনাজপুরের ৩৪ নং জাতীয় সড়কের ধারে নজর গেলেই দেখা যাবে এ ছবি। উত্তর দিনাজপুরের লক্ষাধিক মানুষ বিড়ি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। রায়গঞ্জ ব্লকের সরিয়াবাদ এলাকায় প্রতিটি ঘরে মহিলারা বিড়ি বেঁধে সংসার চালান। বাড়ির অল্প বয়সী মেয়েরাও মায়ের সঙ্গে কাজে হাত মেলায়। সংসারে অভাব। তাই পড়াশোনা বাদ দিয়েই বিড়ি বাঁধার কাজে যুক্ত হচ্ছে তারা। কেউ আবার বিড়ি বেঁধেই পড়ার খরচ জোগাচ্ছে।এদিকে জেলার দোমহনাতে যে সমস্ত মেয়েরা বিড়ি বাঁধে তাদের মধ্যে একটা ধারনা আছে যে, যে ভালো ও বেশী করে বিড়ি বাঁধতে পারবেন তার নাকি এখানে ভাল ঘরে বিয়ে হয় ।
আর তারা তাই পড়াশুনার চেয়ে বিড়ি বাঁধাকেই বেশী গুরুত্ব দেয় ।এছাড়া এখানে মহিলারা বিড়ি বাঁধেন শিশুসন্তানকে কোলে নিয়েই। তাদের ছোট্ট শরীরে ঢুকছে তামাকের মারাত্মক বিষ। শরীরে দুরারোগ্য রোগ বাসা বাঁধছে। নিজেদের অজান্তেই শিশুসন্তানদের চরম ক্ষতি করছেন বিড়ি শ্রমিকরা। কিন্তু তাঁদের সচেতন করবেন কে? তাঁদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার দায়িত্বই বা নেবেন কারা? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে উত্তর দিনাজপুর জুড়ে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584