ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের আত্মহত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত প্রেমিকা পলাতক

সিমা পুরকাইত,দক্ষিন ২৪ পরগনাঃ

দ্বিতীয় বর্ষের ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের আত্মহত্যার ঘটনার অভিযোগ উঠল প্রেমিকা সহ তার পরিবারের বিরুদ্ধে।মৃত ছাত্র দি‌তেন্দু দাস।

কাকদ্বীপ হারুউডপয়েন্ট কোস্টাল থানার অক্ষয়নগর শিবপুরের ঘটনা।প্ররোচনার জেরে বিষ খেয়ে আত্মঘাতি হয়েছে বলে দাবি মৃতের পরিবার পরিজনদের।

মৃত্যুর পর অভিযোগ দায়ের হলেও অধরা অভিযুক্ত।অভিযুক্ত আশালতা দাস।সে কাকদ্বীপ সুন্দরবন আদর্শ বিদ্যামন্দিরের প্রথম বর্ষের কলা বিভাগের ছাত্রী।ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

অভিযোগ অস্বীকার মেয়ের বাড়ি লোকজনদের।অভিযোগ বছর চারেক আগে প্রেমের জ্বালে জরিয়ে পরে দ্বিতেন্দু।

হলদিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ছাত্র একাধিকবার অভিযুক্ত আশালতার সঙ্গে ঘনিষ্ট হয়।সেই ছবি ট্যাব বন্দি করে দি‌তেন্দু।

তাদের কথা জানতো দুই পরিবার।মৃত ছাত্রের পরিবারের দাবি বিষ খাওয়ার দুদিন আগে পালিয়ে বিয়ে করে আশালতা ও দি‌তেন্দু।

অপরাধ ছিল দ্বিতেন্দু ছিল বেকার।বিয়ের দুদিন পর অন্যজায়গায় বিয়ে হবে বলে জানায় আশালতা।মেয়ে তার পরিবারের কথাই দি‌তেন্দুকে ছেড়ে দেওয়ার প্রস্তাব দেন।

ঘটনার দুদিনপর চলতি বছরের ১৬/১১/২০১৮ তারিখে বাড়িতে বিষ খাই দ্বিতেন্দু ।মেয়েটিই আত্মহত্যার প্ররোচনা দিয়েছিল বলে দাবি মৃতের পরিবারের।ঘটনার পর সতেরো দিনের মাথায় কলকাতার পিজি হাসপাতালে মৃত্যু হয় দি‌তেন্দুর।

পরিবার থেকে প্রতিবেশিদের দাবি প্রেমের জ্বালে ফাঁসিয়ে স্বর্বস্ব নিয়ে ছিল আশালতা।বিয়ে করেও অস্বীকার করায় বিষ খাই বলে দাবি মৃতের পরিবারের।

ঘটনারপর পরিবারের লোক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এফআইআর করে।যদিও ঘটনার পর পলাতক সে।পরিবারের কাছ থেকে সম্পত্তি বঞ্চিত হওয়ার পর থেকে আশালতা মুখ ফেরায়।যদিও প্রতিবেশিরা দাবি করেছেন এর আগে অন্যান্য ছেলেদের প্রেমের জ্বালে ফাঁসিয়ে টাকা পয়সা নিতো আশালতা।তাই ছাড়েনি দিতেন্দুকেও। অভিযুক্তের বিচারের আশায় দিন গুনছেন মৃতের পরিবার। এদিকে অভিযোগ অস্বীকার ছাত্রীর পরিবার।পরিবার মেনে নিতে পারেনি বলে আত্মঘাতি হয়েছে বলে পাল্টা দাবি করেন মেয়ের পরিবার পরিজনেরা।