সুদীপ কুমার খাঁড়া,পূর্ব মেদিনীপুরঃ
ছুঁয়েও ছুঁতে পারলোনা পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলা ইউনিয়ন হাইস্কুল।পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চ্যাম্পিয়নকে রাজ্য রানার্স হয়েই থাকতে হলো।
এবারই প্রথম বাবের জন্য কোলা ইউনিয়নের ছাত্ররা প্রথম অনুর্ধ্ব ১৫ দাত্তু ফাদকার ট্রফিতে অংশগ্রহণ করে।পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় এমনিতেই ডিউস বলে চর্চা খুবই কম।কম বেশি ১১-১২ টি কোচিং সেন্টারের ছেলেদের নিয়ে মোট ৮টি বিদ্যালয় জেলা স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।কোলা ইউনিয়ন হাইস্কুল জেলা চ্যাম্পিয়ন হয়ে মূল পর্বে খেলে।সেখানে ২২টি জেলার টিম অংশগ্রহণ করে।
ফাইনাল খেলতে পারবে এতটা আশা নিয়ে হয়ত কোলা ইউনিয়ন বালুরঘাট যায়নি।যদিও এঁদের টিম খুব একটা খারাপ ছিল না।কিন্ত কাজটা ছিল কঠিন।এই গরমে টানা পাঁচ দিনে চারটি খেলা।তাও আবার ৪৫ ওভার করে মোট ৯০ ওভার মাঠে বসে থাকা।
আরও পড়ুনঃ রাজ্যস্তরে সাব জুনিয়ার নেট বল প্রতিযোগিতায় রানার্স মুর্শিদাবাদ মহিলা দল
খেলোয়াড়রা পেরেছে সামাল দিতে।ফাইনাল না জিতলেও রানার্স হয়ে ফিরেছে।এটাও কোলা ইউনিয়নের ছেলেদের কাছে বিরাট প্রাপ্তি – যা বিদ্যালয়ের খেলার ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। এবং যা আগামীদিনে মফস্বলের ক্রিকেট চর্চাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।এবারে চ্যাম্পিয়ন হলো গত তিন বছরে দুবার দাত্তু ফাদকার ট্রফি জয়ী ও দুবার মেয়রস কাপ জয়ী কলকাতার নব নালন্দা উচ্চ বিদ্যালয়।
বালুরঘাট থেকে রার্নাস হয়ে ফেরা দলকে বিদ্যালয়ের তরফে সোমবার বিদ্যালয়ের প্রার্থনা প্রাঙ্গনে শুভেচ্ছা জানানো হয়।পরবর্তীকালে বাৎসরিক অনুষ্ঠানে তাদের সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করা হবে। এই ফলাফলের কৃতিত্ব যেমন খেলোয়াড়দের তেমনই প্রশিক্ষক তথা বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র কৌশিক ভৌমিকের। যাঁকে কোলাঘাট জনপদে সবাই লাট্টুদা বলেই চেনে।
আর অবশ্যই এই সাফল্যের অংশীদার কোলাঘাট ক্রিকেট ক্লাব ৮০ র পরিচালক সমিতি।যাঁরা তাদের প্রাঙ্গন ও ক্রিকেট সরঞ্জাম ব্যবহারের জন্য ছেড়ে দিয়েছেন।হ্যাপি পানসের,অনির্বাণ শাসমল,অনুরাগ তেওয়ারি, রাজা মন্ডল,পবিত্র পাত্র,দেবাঞ্জন পাল,আরিয়ান জসওয়ালদের সাফল্যে খুশি বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক বিপ্লব ভট্টাচার্য্য সহ সহ সকল শিক্ষক, শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মী,পরিচালন সমিতি ও বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা।আর ছাত্রদের সাফল্যে বোধহয় সবচেয়ে বেশি উৎসাহিত সফরে ছাত্রদের সঙ্গে থাকা শিক্ষক সুজন বেরা।
যিনি প্রতিটি মুহূর্তে ছাত্রদের উৎসাহিত করেছেন এবং মজার ছলে ভোকাল টনিক দিয়ে গেছেন।এদিন ছাত্ররা জেলা চ্যাম্পিয়ান ট্রফি তুলে দিল বিদ্যালয়ের হাতে এবং সেটা গ্রহণ করলেন প্রাক্তন ক্রীড়া শিক্ষক তথা প্রাক্তন জেলা ক্রীড়া সম্পাদক এবং বর্তমানে বিদ্যালয় পরিচালক সমিতির সদস্য বিশ্বনাথ ভূ্ঁইয়া।
অন্যদিকে রাজ্য স্তরের রানার্স ট্রফিও তুলে দেয়া হলো বিদ্যালয়ের হাতে, বিদ্যালয় এর পক্ষে তা গ্রহণ করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিপ্লব ভট্টাচার্য।শিক্ষক সুজন বেরার কথায়,বিদ্যালয়ের শতবর্ষ উৎসবের প্রাক্কালে এটা বিদ্যালয়ের একটা বড় প্রাপ্তি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584