নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ
খাদ্যদ্রব্যের উপর GST নিয়ে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে কেন্দ্র। আজ মঙ্গলবার ১৪টি টুইট সম্বলিত এক লম্বা থ্রেডে সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল তিনি সরাসরি লিখেছেন খাদ্যদ্রব্যের উপর GST বসানোর সুপারিশ যে সমস্ত রাজ্য করেছিল তার মধ্যে অন্যতম পশ্চিমবঙ্গ। মঙ্গলবারের এই টুইটার থ্রেডে সব ‘ভ্রান্ত ধারণা’-র অবসান ঘটালেন অর্থমন্ত্রী। একই সঙ্গে প্রশ্নের মুখে পড়লো রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের ভূমিকাও।
মূলত নির্মলা সীতারমন যা লিখেছেন, তা হল,
জিএসটি কাউন্সিলের ৪৭তম বৈঠকে বসে সম্প্রতি। তাতে ডাল, দানা শস্য, ময়দা ইত্যাদির মতো নির্দিষ্ট খাদ্যদ্রব্যের উপর জিএসটির পুনর্বিবেচনার সুপারিশ করা হয়েছে। খাদ্য সামগ্রীর উপর এই প্রথম কর আরোপ করা হচ্ছে না। জিএসটি-র আগেও রাজ্যগুলি খাদ্যশস্য যথেষ্ট পরিমাণে রাজস্ব সংগ্রহ করত। পঞ্জাব একাই সেলস ট্যাক্সের মাধ্যমে খাদ্যশস্যের উপর ২,০০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল। উত্তরপ্রদেশ ৭০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল। জিএসটি যখন চালু হয় তখন ব্র্যান্ডেড দানা শস্য, ডাল, আটার উপর ৫% হারে জিএসটি লাগু হয়েছিল। পরবর্তীতে এটি সংশোধন করা হয়। ধীরে ধীরে এই আইটেমগুলি থেকে জিএসটি বাবদ আয় উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পায়। তিনি লিখেছেন, কর ফাঁকির প্রবণতা রোধ করতে সমস্ত প্যাকেজজাত পণ্যগুলিতে সমানভাবে জিএসটি আরোপ করার জন্য সরকারকে চিঠি দেন সরবরাহকারী ও শিল্প সংগঠনগুলি। কর ফাঁকির এই ব্যাপক প্রবণতার বিষয়টি রাজ্যগুলিরও অজানা নয়।
এখানে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন যে, রাজস্থান, পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা এবং গুজরাটের আধিকারিকদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটি এ বিষয়ে আলোচনা করে। বেশ কয়েকটি বৈঠকে সমস্যাটি পরীক্ষার পরে করের পদ্ধতি পরিবর্তনের জন্য সুপারিশ করে রাজ্যগুলি।
Recently, the GST Council in its 47th meeting recommended to reconsider the approach for imposition of GST on specified food items like pulses, cereals, flour, etc. There have been a lot of misconceptions about this that have been spread. Here is a thread to lay the facts: (1/14)
— Nirmala Sitharaman (@nsitharaman) July 19, 2022
এরপরে জিএসটি কাউন্সিল তার ৪৭ তম বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা ১৮ জুলাই ২০২২ থেকে কার্যকর হয়েছে। নয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ডাল, দানা শস্য যেমন চাল, গম এবং আটা এই ধরণের জিনিসের ক্ষেত্রে আগে ব্র্যান্ডেড এবং ইউনিট পাত্রে প্যাক করা থাকলে, তাতে ৫% জিএসটি লাগু হত। ১৮ জুলাই ২০২২ থেকে, এই জাতীয় আইটেমগুলি ‘প্রি-প্যাকেজ এবং লেবেলযুক্ত’ হলেই তাতে জিএসটি প্রযোজ্য হবে। তালিকায় উল্লিখিত আইটেমগুলি, ‘লুজ’ অবস্থায় বিক্রি করা হলে এবং আগে থেকে প্যাক করা বা লেবেলযুক্ত না হলে, তখন কোনও জিএসটি বসবে না। অর্থমন্ত্রী এও লিখেছেন যে, এটি জিএসটি কাউন্সিলের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত ছিল। ২৮ জুন ২০২২-এ চণ্ডীগড়ে অনুষ্ঠিত ৪৭ তম বৈঠকে মন্ত্রী পরিষদের কাছে যখন এটি উত্থাপন করা হয়, তখন সমস্ত রাজ্যের প্রতিনিধি সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584