ছাত্রকে শাসন করায় স্কুলে ঢুকে শিক্ষককে পেটালো অভিভাবক

0
57

সুদীপ পাল, বর্ধমানঃ

প্রথমে জামার কলার ধরে মারতে মারতে মাটিতে ফেলে দেওয়া হয়। পরে লাঠি দিয়েও পেটানো হয়। না কোন সিনেমার শুটিং নয়। যিনি মার খাচ্ছেন তিনি শিক্ষক। যিনি মার দিচ্ছেন তিনি অভিভাবক। দুষ্টুমি করায় এক ছাত্রকে চড় মেরেছিলেন শিক্ষক। সেটিই তাঁর অপরাধ।বর্ধমান শহরের উপকণ্ঠে নবাবহাট অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনায় হতবাক বর্ধমানবাসী। জখম শিক্ষকের নাম মৈনাক মুখোপাধ্যায়। আক্রান্ত শিক্ষকের বাড়ি বর্ধমান শহরের বড়নীলপুর এলাকায়। অভিযুক্ত অভিভাবকের এমন আচরণের প্রতিবাদে সরব হয়েছেন গ্রামবাসী ও পড়ুয়াদের অভিভাবকরা।
শিক্ষক পেটানোর ঘটনার গ্রামের বদনাম হয়ে গেল বলে জানান তাঁরা।

Guardian assault teacher | newsfront.co
ছবিঃ প্রতিবেদক

অভিযুক্ত অভিভাবক আসগর আলিও নিজের ভুল বুঝতে পেরে।বলেন, ‘ছেলের কানের গোড়ায় চড় মারার দাগ দেখে মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল। তাই এমন অন্যায় করে ফেলেছি। মাথা গরম করে ফেলায় কত বড় অনুচিত কাজ আমি করেছি।’ এই ধরনের ঘটনায় তাঁরা নিরাপত্তার অভাববোধ করছেন বলে জানান স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা রীনা দে। স্কুলে তিনজন শিক্ষক।একজন ছুটিতে ছিলেন। তিনি ও মৈনাকবাবু ক্লাস নিচ্ছিলেন আলাদা আলাদা ঘরে। শিশুশ্রেণীর একছাত্রকে চড় মেরেছিলেন ওই শিক্ষক। তার পরে তার বাবা এসে শিক্ষককে গালিগালাজ করতে থাকে।

আরও পড়ুনঃ শ্লীলতাহানি, গ্রেফতার ক্যারাটে প্রশিক্ষক

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা গিয়ে দেখেন মৈনাকবাবুকে মারধর শুরু করেছেন ওই অভিভাবক। কোনভাবেই অভিভাবককে থামানো যাচ্ছে না দেখে তার মাথায় জল ঢেলে দেয় বিদ্যালয়ের রাঁধুনিরা। তার পর শান্ত হন তিনি। পূর্ব বর্ধমান জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) নারায়ণচন্দ্র পাল বলেন, গ্রামবাসীরাই অভিযুক্তকে চিহ্নিত করেছেন। গ্রামবাসীরা শিক্ষক ও স্কুলের পাশে রয়েছেন। অভিযুক্ত অভিভাবকও ক্ষমা চেযেছেন। তাই তাঁরা আইনের পথে যাচ্ছেন না।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here