সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরায়। লাভ বেশি নেই তবু শুধু পেশা নয় কিছুটা নেশার তাগিদেই তাঁরা নিত্যদিন কাজ করে যান।দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের প্রতাপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রতাপপুর গ্রামের বাদ্যকর পাড়ায় প্রায় ৩০০ জন হস্তশিল্পীর বসবাস।
জন্ম থেকেই হস্ত শিল্পের সাথে তাঁরা পরিচিত।ছোট থেকে এই শিল্পে হাতে খড়ি।তারপর একদিন পেটের টানে এই শিল্পী হয়ে ওঠে মূল উপজীব্য। কিন্তু হস্তশিল্পের অবস্থা এখন কি? কেমন আছেন তাঁরা? শিল্পীরা বলছেন, কদর কমেছে বাঁশের কঞ্চির তৈরী মোড়ার।তার থেকে কম দামে ফাইবার চেয়ার পেয়ে যাচ্ছেন মানুষরা।একটি মোড়া করতে যা খরচা হয় আর যে মূল্যে সেটি বিক্রি হয় তাতে তাঁদের ১০ থেকে বড়জোড় ১৫ টাকা লাভ থাকে। এত কম লাভে সংসার চালানো তো দূরে থাক নিয়মিত পেটের ভাত টুকুও জোটে না।বেতের ঝুড়ি, কুলো ইত্যাদিও তৈরি করেন শিল্পীরা।তবে তাঁদেরও একই বক্তব্য,আগের মতন আর চাহিদা নেই। মহিলা শিল্পী পার্বতী বাদ্যকর বলেন,খুব কষ্ট করে সংসার চালাতে হয়।
ছেলেমেয়েদের ভালোভাবে পড়াশোনার দিকে নজর দেওয়া যায় না।আর সে খরচা বহন করা সম্ভব হয় না। শিল্পীরা বলছেন,যদি সরকারি সাহায্য মেলে তাহলে এই ক্ষুদ্র শিল্প উন্নয়নের জন্য তাঁরা প্রাণপাত চেষ্টা করবেন।
আরও পড়ুনঃ কচুরিপানা থেকে হস্তশিল্প
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যখন হস্তশিল্পকে একটি উন্নততর জায়গায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন তখন এখানে এরকম খারাপ অবস্থা কেন? প্রতাপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সঞ্জয় মুখার্জী জানান,বেশ কয়েকজন ক্ষুদ্র শিল্পীকে ইতিমধ্যেই সাহায্য করা হয়েছে।অন্যান্য শিল্পীদেরও সাহায্য করা হবে যাতে এই ক্ষুদ্র শিল্প সুন্দরভাবে এগিয়ে যেতে পারে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584