দুর্গা নয়,জমিদার বাড়িতে আসেন হরগৌরী

0
693

সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ   

পূর্ব বর্ধমানের বড়শুলের দে-পরিবারে দেবী দুর্গারূপে আসেন ন। এখানে দেবী হরগৌরী রূপে পূজিত হয়ে আসছেন। স্বপ্নাদেশ পেয়ে দেবী পুজোর শুরু ১৮২৮ সালে। তারপর থেকে নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে আজও এই পুজোর আয়োজন করে চলেছেন দে পরিবারের সদস্যরা। এখন জমিদারী নেই তবে রয়ে গেছে পুজো নিয়ে জমিদারী রীতিগুলি। কিন্তু কেন হরগৌরীর এই মূর্তি পূজা করা হয় তা নিয়ে মতভেদ বর্তমান। অনেকে বলেন স্বপ্নাদেশে হরগৌরীর মূর্তি দেখে ছিলেন পরিবারের কর্তা। তাই হরগৌরীর মূর্তি পূজার প্রচলন। অন্য মতে বংশের কুলগুরু নির্দেশ মতো একটি পাত্রে অনেকগুলি মূর্তি রাখা হয়। এই মূর্তিগুলি ছিল দেবী দুর্গার বিভিন্ন রূপের প্রকাশ। তারপর একটি বালিকাকে চোখ বন্ধ করে যে কোন একটি মূর্তি তুলতে বলা হলে সেই বালিকা নাকি হরগৌরীর মূর্তিটিই তুলেছিল। এই মূর্তিতে অসুুুর নেই। এখানে মা দুর্গার বাহন সিংহ নেই। শিবের পায়ের নীচে রয়েছে মোষ। কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতী থাকলেও লক্ষ্মী এবং সরস্বতীর কোনো বাহন নেই।

নিজস্ব চিত্র

এই পরিবারের কুলদেবতা রাজরাজেশ্বর। বলিদানের সময় রাজরাজেশ্বরের মুখ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। তিনি বলিদান দেখেন না। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে বৈষ্ণব এবং শাক্ত ধারা মিলন স্থল এই দে পরিবার। যেখানে রাজরাজেশ্বরের বৈষ্ণব মতে এবং দেবী দুর্গার পুজো হয় শাক্ত ধারায়।

আরও পড়ুনঃ শতবর্ষ অতিক্রান্ত কামাখ্যাগুড়ি হরিবাড়ি দুর্গা পুজো

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here