সুদীপ পাল, বর্ধমানঃ
উঁচু ডিবি থেকে মাটি কাটা হচ্ছিল। উদ্দেশ্য গ্রামের রাস্তা তৈরি হবে। কিন্তু মাটি কাটার কিছু পরেই দেখা মিলল অজস্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা লাল, কালো, ধুসর মৃৎপাত্র। কিছুদিন আগে দামোদরের ধারে গলসির জুজুটি এলাকায় একশো দিনের কাজে উঁচু ডিবি কাটার সময় সন্ধান মিলেছিল দুটি মন্দিরের। খবর পাঠানো হয়েছিল আর্কিওলোজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার কাছে। এসেছিলেন প্রতিনিধিদল। কথিত আছে, মনসামঙ্গল কাব্যের বনিক চাঁদ সদাগর এই পথ দিয়ে বানিজ্যে যেতেন। এই মন্দির তাঁর কীর্তি হয়ে থাকতে পারে। তার প্রধান কারণ, এখানে একটি খেয়া ঘাট ছিল এবং হয়তো তিনি জুজুটি গ্রামের কাছে দামোদরের তীরে জাহাজ নোঙ্গর করেছিলেন। এ বার সেই জুজুটি থেকে সামান্য দূরে খানো গ্রামে মিলল আদি মধ্যযুগ ও তারও আগের গ্রামের নিদর্শন।
উল্লেখ আছে এই গ্রাম বাঘা পরগণার অন্তর্গত। প্রত্নবস্তু পাওয়ায় সেই তথ্য সঠিক মনে করা হচ্ছে। মধ্যযুগের ইতিহাসে বাঘা রাজাদের অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
মাদ্রাসার শিক্ষক ফিরোজ আলি কাঞ্চন এবিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছেন। গ্রামের মানুষদের দাবি রক্ষা করা হোক ঐতিহাসিক স্মারকগুলিকে। গলসি ২ বিডিও শঙ্খ বন্দ্যোপাধ্যায় ঢিবি সংরক্ষণের জন্য পুরাতত্ত্ব দফতরকে চিঠি দেবেন বলে জানান।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584