ইতিহাস আর আধ্যাত্মিকতা মিলে মিশে একাকার শ্যামারূপা মন্দিরে

0
170

সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ

ইতিহাসের সাথে ঐতিহ্যের মিশেল।আর তার সাথে ভক্তি। এভাবেই প্রতি বছর ব্যাপক ভিড় পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসার গভীর জঙ্গলের ভিতর শ্যামারূপা মন্দিরে। গৌড়ের সিংহাসনে তখন রাজা দেবপাল।কাঁকসার সামন্ত রাজা সোম ঘোষের পুত্র ইছাই ঘোষ ত্রিষষ্টিগড়ের মধ্যেই ঢেকুরগড় স্থাপন করে কর্ণ সেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন।যুদ্ধে কর্ণ সেনের হার হয়।জয়ের নিশান হিসাবে ইছাই ঘোষ গড়ে তোলেন এক সুউচ্চ দেউল।ইছাই ঘোষ ছিলেন দেবী চণ্ডীর ভক্ত।গড়ের মধ্যে মন্দির তৈরি করেন তিনি। সেখানে দেবীর নিত্যপুজোর ব্যবস্থা করেন।কবি জয়দেব দেবী চণ্ডীর সাধনা করতেন।দেবী চণ্ডী এই মন্দিরে তাঁকে ‘শ্যাম’ রূপে দেখা দেন।তাই দেবী এখানে শ্যামারূপা।অষ্টমীর সন্ধ্যায় তোপের আওয়াজ আর সেই আওয়াজ শোনার পরেই শুরু হয় কাঁকসার গ্রামগুলির বলি।তবে সেই আওয়াজ কোথা থেকে যে আসে তা কেউ জানে না।অর্থাৎ এই শব্দের উৎস সম্পর্কে জানা যায় না।

আজ সরজমিনে গিয়ে দেখা গেল মন্দিরে ব্যাপক ভিড়।শুধু দুই বর্ধমান নয় মানুষ এসেছেন বীরভূম, পুরুলিয়া থেকেও।

বর্ধমান থেকে আসা সুশীল ভট্টাচার্য বলেন, রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ।প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়ে যাচ্ছে।দুর্গাপুর থেকে আসার রাস্তা বা পানাগড় থেকে আসার দুটি রাস্তাই যা জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে মন্দিরে যাওয়া যায়,সেই রাস্তাগুলির সংস্কার হয়নি দীর্ঘ দিন।ফলত মানুষের চলাচলের বিশেষ অসুবিধা হচ্ছে। মন্দির কমিটি ভক্তদের জন্য পাত পেড়ে খিচুড়ি প্রসাদের ব্যবস্থা রেখেছেন।ইতিহাস আর আধত্মিকতার জন্য মানুষ এখানে আসেন বারেবার।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here