কাবির হোসেন:
আজ হিরোশিমা দিবস। ১৯৪৫ সালে ৯ই আগস্ট মার্কিন যুদ্ধ বিমান জাপানের বন্দর শহরে দ্বিতীয় পারমানবিক বোমা নিক্ষেপ করে। বোমার আঘাতে প্রায় ৭৪ হাজার জাপানি প্রাণ যার অধিকাংশ ছিল বেসামরিক নাগরিক।
প্রথমে হিরোশিমা তিনদিন পর নাগাসাকি পরপর দুটি পারমানবিক বোমার আঘাতের ফলে জাপানী সরকার আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়।
জাপানের এক সমীক্ষা অনুযায়ী পারমানবিক বোমার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে আরও ১৩৫০০০ লোক মারা যায়।
জাপানের দক্ষিণের বন্দর শহর নাগাসাকিতে অবস্থিত ছিল।সেই সময় নাগাসাকি যে ২৬৩০০০ বাসিন্দা ছিল।এছাড়া জাপানের বড় জাহাজ নির্মাণ সংস্থা মিতসুবিসি, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম এছাড়া একটা সামরিক অস্ত্রের কারখানা। নাগরিকদের মধ্যে অধিকাংশই ছিল শ্রমিক। বোমার আঘাতে মৃত ও আহত ব্যাক্তিদের অধিকাংশই ছিল এরা, উলেখ্য মাত্র ১৫০জন জাপানি সেনা বোমার আঘাতে মারা যায় বলে জানানো হয়।
হিরোশিমা ও নাগাসাকি বিস্ফোরণ এর পর জাপানি প্রধানমন্ত্রী সুজুকি যুদ্ধ কমিটি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে ও জাপানকে আত্মসমর্পণ বাধ্য করেন।যা পরবর্তীতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। অনেকের মতে হিরোশিমার পর নাগাসাকিতে পারমানবিক বোমা ফেলে এতগুলো আসামিরক মানুষদের হত্যালীলা না করলো হত।
৬ই আগস্টের হিরোশিমা ঘটনার পর জাপানের অসামরিক নাগরিকরা যুদ্ধ বন্ধের জন্য গোপনে কাজ করছিল। বোমা নিক্ষেপ না করে যদি মার্কিন বাহিনী পার্ল হারবার বদলা নিতে জাপান আক্রমণ করলে ক্ষয়ক্ষতি বেশি ও ফল হত আরোও মারাত্মক ও দীর্ঘস্থায়ী বলে সেই সময় মার্কিনি দের ধারণা ছিল। যদিও জাপানের নাগরিকরা যুদ্ধ থেকে জাপান সরকার কে বিরত করতে গোপন কাজ করছিল। তবে একথা নি:সন্দেহে বলা যেতে পারে মানব সভ্যতার ইতিহাসে কালো অধ্যায় হিসেব লেখা থাকবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584