নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদহঃ
নীলকুঠি বললেই আমাদের চোখে ভেসে ওঠে অত্যাচারী কিছু ইংরেজ আর ভারতীয় চাষিদের ওপর নীলকরদের অন্যায়-অবিচার। কিন্তু মদনাবতীর নীলকুঠির দায়িত্বে থাকা উইলিয়াম কেরির সময়ে ইতিহাস বলে সম্পূর্ণ অন্য কথা। তিনি দেশ, বলা ভালো বাংলাকে ভালোবেসেছিলেন মন থেকে।
![histroical place nilkuthi become destroyed | newsfront.co](https://newsfront.co/wp-content/uploads/2020/05/histroical-place-nilkuthi-become-destroyed-1024x576.jpg)
তাই শুধু ভাষা নয়, শিক্ষা-স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও জোর দিয়েছিলেন তিনি। সমস্তরকম চেষ্টা চালিয়েছিলেন যাতে সমাজ থেকে দূর করা যায় কুসংস্কারগুলিকে। আর তাই সেসময়ে মানুষগুলো বাঁচতে শিখেছিল এই ইংরেজ সাহেবকে আঁকড়ে ধরেই।
আরও পড়ুনঃ জলের সাথে মিলল সাপ
মদনাবতীর ওই নীলকুঠি তাদের সামনে খুলে দিয়েছিল এক প্রশস্ত দিগন্ত। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে অনেক কিছুই। বদলেছে পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি এবং প্রজন্মও। তাই উইলিয়াম কেরির স্মৃতি বিজড়িত ওই নীলকুঠি আজ ধ্বংসের মুখে পৌঁছে গেলেও হেলদোল নেই কারোরই। সম্প্রতি অভিযোগ উঠেছিল যে, নীলকুঠি সংলগ্ন এলাকা থেকে নির্বিচারে কেটে ফেলা হচ্ছে গাছ।
স্বাভাবিকভাবেই ফিকে হয়ে আসছিল সবুজের অংশ। তার মধ্যেও কোনওরকমে উইলিয়াম কেরির স্মৃতি নিয়ে বেঁচে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করছিল এই নীলকুঠি। বহু মানুষের অভিযোগ, কেরি সাহেবের স্মৃতি বিজড়িত নীলকুঠিটিকে যখন বাঁচানোর পথ খোঁজা হচ্ছে, তখন নীলকুঠির ভগ্নাবশেষের গায়ে গোবরের ঘুঁটে দিচ্ছেন কিছু মানুষ।
ইতিহাসের গন্ধ মাখা নীলকুঠির ভগ্নাবশেষের পাঁজরের ইটগুলিও নষ্ট হওয়ার পথে। ইতিহাসপ্রেমীরা এর জন্য যেমন দায়ী করেছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের, তেমনই অভিযোগ তুলেছেন প্রশাসনের বিরুদ্ধে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584