শ্যামল রায়,কালনাঃ
বিদ্যুতের বিল বাকি থাকার কারণে ট্রান্সফর্মার তুলে নিয়ে গিয়েছে বিদ্যুৎ দপ্তর।বিল বাকি ছিল ছয় লক্ষ টাকার মতো রফা করে তিন লক্ষ টাকা হলেও এক লক্ষ টাকা ইতিমধ্যেই পরিশোধ করে দিয়েছেন চাষিরা।আবার ট্রান্সফর্মার বসিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার কথা থাকলেও আজও পর্যন্ত বিদ্যুৎ দপ্তর বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়নি ফলে জল মিলছেনা জমিতে,চিন্তিত এলাকার চাষীরা। ঘটনাটি মন্তেশ্বর থানার বাউই গ্রামের চাষীদের অভিযোগ।শুশুনিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বাউই গ্রামের মাঠের বেহাল দশা।জল না পাওয়ায় ধান মরে যাচ্ছে।
বুধবার লক্ষ্মীপুজো ঘরে লক্ষ্মীর আরাধনা থাকলেও জলের অভাবে মাঠের লক্ষ্মী বাঁচাতে হিমশিম অবস্থা।নষ্ট হয়ে যাচ্ছে জমির ধান তাই কূলকিনারা পাচ্ছেন না চাষিরা।গ্রামের চাষি ও প্রাক্তন শিক্ষক প্রশান্ত দাস জানিয়েছেন যে এলাকার প্রায় হাজার বিঘা জমির ধান নষ্টের মুখে, চাষিরা চিন্তিত আগামী দিন কি করে বাঁচবেন।কয়েক লক্ষ টাকা বিদ্যুৎ বিল বাকি থাকলেও আমরা বিদ্যুৎ দপ্তর এর সাথে রফা করে তিন লক্ষ টাকা পরিশোধ করব বলে প্রতিশ্রুতি দিই।চার দিন আগে এক লক্ষ টাকা পরিশোধ করা হয়ে গিয়েছে।কিন্তু কবে নাগাদ বিদ্যুৎ সংযোগ দেবে এই আশায় দিন গুণতে হচ্ছে কিন্তু জমির ফসল যে প্রায় নষ্ট হবার মুখে এ কথা কে আর শুনবে?দ্রুত জলের ব্যবস্থা না করা গেলে ক্ষেত থেকে ফসল গোলায় তোলা সম্ভব হবে না আশঙ্কায় ভুগছে এলাকার চাষীরা।
রাজ্যের শস্যগুলো হিসাবে পূর্ব বর্ধমান জেলা অতি পরিচিত কিন্তু বৃষ্টির অভাবে মাঠে পাকতে শুরু করা ধান বাঁচাতে হিমশিম খাচ্ছেন চাষিরা।
জল না পেয়ে নানা এলাকায় ক্ষোভ-বিক্ষোভ অবরোধের ঘটনাও ঘটেছে ইতিপূর্বে কিন্তু এখন পর্যন্ত জেলা প্রশাসন সূত্রে কোনরকম আশ্বাসের কথা জানতে পারেনি চাষিরা।
আরো জানা গিয়েছে গত ২৫ অক্টোবর কৃষিমন্ত্রী আসিস বন্দোপাধ্যায় কৃষি মন্ত্রীর কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার এর উপস্থিতিতে চাষের পরিস্থিতি নিয়েবিডিও অফিসে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও মন্তেশ্বরের শুশুনিয়া পঞ্চায়েতের এলাকার চাষীদের বেহাল অবস্থা।বৃষ্টির জলের অভাব যেমন তেমনি ডিভিসি ক্যানেলে জল পাচ্ছেন না তারা এখন জমির ফুটিফাটা দশা।
জল না মিললে কোন জমির ফসল বাঁচানো যাবে না এ কথা জোর দিয়েই জানিয়ে দিয়েছেন চাষিরা।জল কবে পাবেন সে ব্যাপারে নিশ্চিত নয় এলাকার চাষিরা।স্থানীয় পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পার্থসারথি দে জানিয়েছেন “যে চরম সমস্যার মধ্যে পড়েছেন চাষিরা পরিত্রাণ পেতে চাষিরা বকেয়া বিলের একটা অংশ পরিশোধ করলেও এখন পর্যন্ত ট্রান্সফর্মার সংযোগ ঘটেনি।এ বিষয়ে আমিও বিদ্যুৎ দপ্তর এর সাথে আলোচনা করে দ্রুত সমস্যার সমাধানের দিকে এগোনোর চেষ্টা করব তাহলে চাষিরা অনেকটাই ধান বাঁচাতে পারবে যদি জল পায়।”
আরও পড়ুনঃ জলে ডুবে মৃত্যু হল দুই বোনের
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584