নিজস্ব সংবাদদাতা,দক্ষিণ দিনাজপুরঃ রক্তে লাল হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন জেলায় মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। মৃত্যুর পাশাপাশি ছাপ্পাভোট, ব্যালট বক্স ছিনতাই, পোলিং এজেন্টদের ঢুকতে বাধা দেওয়ার মতো অভিযোগও এসেছে। কার্যত প্রাণ হাতে নিয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন ভোট কর্মীরা। আর ভোট মেটার পরও বালুরঘাটে নাজেহাল হতে হল তাঁদের। বাড়ির ফেরার জন্য গাড়ি না পেয়ে DCRC সেন্টারেই রাত কাটান তাঁরা। ঘুমোতে হয় বেঞ্চেই। এছাড়াও অভিযোগ, ব্যালট বক্স জমা দিতে গিয়েও হেনস্থা হতে হয়েছে তাঁদের। ভোট কর্মীদের একাধিকবার ব্যালট বক্স গুনে জমা দিতে বলা হয়।
বালুরঘাট ব্লকের জন্য বালুরঘাট কলেজে DCRC(ডিস্ট্রিবিউশন কাম রিসিভিং সেন্টার) সেন্টার করা হয়। ভোট মেটার পর গতকাল ব্যালট বক্স নিয়ে সেই কেন্দ্রে পৌঁছান ভোটকর্মীরা। অভিযোগ, ব্যালট বক্স জমা নিতে অনেক দেরি হয়। অনেকের থেকে আজ ভোররাতে জমা নেওয়া হয়। অতিরিক্ত কাউন্টার খোলার দাবিতে ডি সি আর সি সেন্টারে থাকা কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন ভোটকর্মীরা।
অনেকেই গাড়ি না পেয়ে রাতে আর বাড়ি ফিরতে পারেননি। গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়নি নির্বাচন কমিশনের তরফেও। ফলে অনেকে ডি সি আর সি সেন্টারেই রাত কাটান। দীর্ঘ অপেক্ষার পর বাড়ি ফেরার আশা ছেড়ে দিয় বেঞ্চেই শুয়ে পড়েন।
বাপি বর্মণ নামে এক ভোটকর্মী বলেন, “সারারাত ধরে আমাদের হেনস্থা করা হয়। ভোরবেলা জমা নেওয়া হয় ব্যালট বক্স। এমনিতেই সন্ত্রাসের আবহে ভোটের কাজ করেছি। তার উপর এখানে হেনস্থা হতে হল।”
ফিচার ছবি সংগৃহীত
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584