সিমা পুরকাইত, দক্ষিণ ২৪ পরগণাঃ
এদের কারও বয়স পাঁচ, কারও বা তার বেশি। এদের পেশা আর নেশা বলতে পড়াশোনা করা। বছরের প্রতিদিন পাঠশালায় দেখা গেলেও গঙ্গাসাগর শুরুর মুহূর্তে এদের দেখা মেলে মুড়িগঙ্গা নদীর স্থায়ী এবং অস্থায়ী ঘাট গুলিতে।

তবে তখন এদের হাতে থাকে না বই, পেটে থাকে না খাবার। মুখে হাসিও থাকে না। কারণ বছরের এইকটা দিন রুটি-রুজির তাগিদে অক্লান্ত পরিশ্রম করে খুদেরা।

আরও পড়ুনঃ গঙ্গাসাগরে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পরিষেবায় খুশি তীর্থযাত্রীরা
দক্ষিণ ২৪ পরগণার কাকদ্বীপ ব্লকের রামকৃষ্ণ গ্রাম পঞ্চায়েতের কালিনগর গ্রামে প্রায় শতাধিক শিশুর বাস। আর এই শিশুগুলি তাদের উপার্জনের জন্য বেছে নেয় গঙ্গাসাগরের তীর্থে ঘুরতে আসা তীর্থ যাত্রীদের কাছ থেকে পাওয়া সামান্য কিছু পয়সা। কেউ ৫ টাকা কেউ বা ১০ টাকা, যা পায় তাতেই সন্তুষ্ট থাকে অভাবী শিশুরা। ওই আয়েই তাদের পরিবারও চলে।
এবারে তীর্থযাত্রীদের সংখ্যা বাড়লেও তেমন একটা আয় হয়নি কারোরই। তবে শিশুদের অক্লান্ত পরিশ্রম কাদামাখা শরীরে, ঠাণ্ডায় কাঁপতে কাঁপতে আজও ভিক্ষার জন্য দু হাত বাড়িয়ে বলে থাকে, ‘দুটি পয়সা দিন’।
এভাবেই কাকদ্বীপের কালিনগর গ্রামের শতাধিক শিশুর উপার্জন ব্যবস্থা গঙ্গাসাগরের মাধ্যমে হয়ে আসছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584