মৃত্যুতেও ধর্মের রাজনীতি! বাংলার মানুষকে বন্দুক দিন অমিত শাহ, দাবি বিজেপি বিধায়কের

0
89

নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ

মৃত্যুতেও ধর্ম দেখছে বিজেপি! বীরভূমের বগটুই গ্রামের নারকীয় হত্যাকান্ডে প্রাণ গিয়েছে অন্তত ১০ জন মানুষের। মৃতদের মধ্যে বেশিরভাগই মহিলা এবং দুই শিশুর কথাও উঠে এসেছে। নিঃসন্দেহে ন্যক্কারজনক ঘটনা। এমন দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় শিউরে উঠছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে আদালত ও। রাজ্য সরকার এই ঘটনার তদন্তে গঠন করেছে সিট এবং কলকাতা হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে।

Hyderabad BJP MLA
হায়দ্রাবাদের বিজেপি বিধায়ক রাজা সিং, ছবিঃ তেলেঙ্গানা টুডে

গতকালই রাজ্যে এসেছে কেন্দ্রীয় বিজেপির বিশেষ দল, বগটুই গ্রামেও গিয়েছেন তাঁরা। অন্যদিকে আরেক বিজেপি নেতা , হায়দ্রাবাদের বিজেপি বিধায়ক রাজা সিং এক ভিডিও বার্তায় বলে বসলেন রামপুরহাটের এই হত্যাকান্ডে নাকি নির্দোষ হিন্দুদের জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও মৃতের পরিজনদের থেকে পাওয়া তথ্য ও সরকারি তথ্য অনুযায়ী যারা মারা গিয়েছেন তাঁরা সকলেই মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। তবে কি বিজেপি বিধায়কের কাছে সে তথ্য নেই ? নাকি তিনি জেনে বুঝেই ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়াতে এই উস্কানিমূলক মন্তব্য করলেন?

দেখে নেওয়া যাক কি বললেন হায়দ্রাবাদের বিজেপি বিধায়ক রাজা সিংঃ

“রামপুরহাটে দশ জনকে জীবন্ত পোড়ানো হয়েছে। এক মাফিয়া, টিএমসির এক গুন্ডা যে জবরদস্তি তোলাবাজি, জমি দখলে যুক্ত ছিল তাকে কেউ একজন হত্যা করে। টিএমসির গুন্ডা যারা মুসলমান তারা নির্দোষ হিন্দুদের টার্গেট করে। ঘরে তালা লাগিয়ে সাতজনকে একজায়গায় জীবন্ত পুড়িয়ে দেয়, আর তিনজনকে জীবন্ত অবস্থায় জ্বালিয়ে দেয়। বাংলায় আজ হিন্দুদের এই পরিস্থিতি। আমি অমিত শাহজীকে হাত জোড় করে নিবেদন করতে চাই যে বাংলায় বসবাসকারী প্রত্যেক হিন্দুকে, প্রত্যেক হিন্দু পরিবারকে বন্দুকের লাইসেন্স দিয়ে দিন আত্মরক্ষার জন্য। না হলে কাশ্মীরে যেভাবে হিন্দু এবং হিন্দু পণ্ডিতদের মারা হয়েছে, তাড়ানো হয়েছে, কেটে ফেলা হয়েছে, একই রকমভাবে আগামীতে এই ঘটনা বাংলায় বাড়তে পারে, কারণ বাংলাদেশী মুসলমান, রোহিঙ্গা মুসলমান, পাকিস্তানি মুসলমানের সংখ্যা বাংলায় মমতা ব্যানার্জির তত্ত্বাবধানে বাড়ছে বাংলায়। তো এরকম পরিস্থিতিতে বাংলার হিন্দুরা সুরক্ষিত থাকবে না। তো আমি নিবেদন করতে চাই অমিত শাহজীকে, যিনি সর্বদা রাজ্যের সুরক্ষার কথা ভাবেন, ভারতের জনগণের সুরক্ষার কথা ভাবেন, বাংলার জনতাও আজ এটা চাইছে আমাদের যদি সুরক্ষিত থাকতে হয় তো সরকার আমাদের জন্য কিছু ভাবুক। আমি ঐ জনতার তরফে থেকে নিবেদন করতে চাই যে হিন্দু পরিবারকে বন্দুকের লাইসেন্স দেওয়া হোক এবং বন্দুক সরবরাহ করা হোক। কমসে কম কোন টিএমসির গুন্ডা বা কোন মুসলমান যে সন্ত্রাসবাদী চিন্তা ভাবনা করে যদি বাংলা হিন্দুদের ওপর আক্রমণ করে তো কমসেকম পরিবারের শেখার জন্য ও আত্মরক্ষার্থে…” এই হল তার ভিডিও বার্তার বঙ্গানুবাদ।

একেবারে মিথ্যা তথ্যের উপর ভিত্তি করে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতেই যে রাজা সিং এর এই মন্তব্য তা বলার অপেক্ষা রাখেনা। প্রশ্ন উঠছে, এই মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ সৃষ্টির যে চক্রান্ত করলেন বিজেপির বিধায়ক তার বিরুদ্ধে কি স্বতঃপ্রণোদিত কোন পদক্ষেপ নেবে কেন্দ্র? মোদী সরকারের সংশোধিত আইটি আইনের আওতায় মিথ্যা তথ্য( FAKE NEWS) ছড়ানোর অপরাধে দলীয় বিধায়কের কোন শাস্তি কি আদৌ হবে?

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here