নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুরঃ
‘কুমোর পাড়ার গোরুর গাড়ি, বোঝাই করা কলসী-হাঁড়ি’র ছবিটা এখন অতীত। তবুও হাজারো প্রতিকূলতা সত্বেও কোন রকমে নিজেদের প্রাচীন ও ঐতিহ্যময় পেশা আগলে রয়েছেন এক শ্রেণীর মৃৎ শিল্পীরা। কিন্তু ‘করোনা’র আগমন যেন সব কিছু ওলট পালট করে দিয়েছে ।
মারণ ভাইরাস ‘করোনা’ সতর্কতায় ‘লক ডাউনে’র দিন গুলিতে কেমন আছেন মৃৎ শিল্পীরা? তা দেখতেই যাওয়া হয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নন্দকুমার থানার ঠেকুয়া বাজার এলাকার মৃৎশিল্পীদের কাছে। এখানকার মৃৎশিল্পীরা মাটির হাঁড়ি, কলসী তৈরীর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরণের প্রদীপ, ধূনাচুর, সরা, টপ ইত্যাদি তৈরী করে জীবিকা নির্বাহ করেন।
সারা বছর সেভাবে বিক্রি না হলেও বিশ্বকর্মা পূজা থেকে শারদোৎসব সহ অন্যান্য পুজো পার্বণের আগে খুব ভালো বিক্রি হয়। কিন্তু এবছরের ‘করোনা’র উপস্থিতির জেরে চলতি মরসুমে কোনও ধরণের সামাজিক অনুষ্ঠান না হওয়ায় এখন চরম দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন মৃৎশিল্পীরা।
এমনটাই জানিয়েছেন তারা।এখানকার মৃৎশিল্পী স্বপন পাল বলেন, মাটির জিনিসপত্র তৈরি ও তা বিক্রি করে আমাদের সংসার চলে। লকডাউনের কারণে বিক্রিবাট্টা নেই। সামনে শারদোৎসব সেই আশায় রয়েছি।
আর এক মৃৎশিল্পী সুদর্শন পাল বলেন, প্রতিবছর পুজোর আগে প্রচুর অর্ডার থাকে, পাশাপাশি এলাকায় যেমন তমলুক, কালিরহাট, নন্দকুমার, শ্রীরামপুর বিভিন্ন এলাকা থেকে অর্ডার আসে কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে সেভাবে অর্ডার নেই এখন।
আরও পড়ুনঃ পুকুরে মিলছে টাকা! উদ্ধারে এল পুলিশ
খুব চিন্তায় রয়েছি আমরা৷ কবে আবার পুরনো ছন্দে ফিরবে এইসব মৃৎশিল্পীরা তা নিয়ে যথেষ্ট দুশ্চিন্তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন মৃৎশিল্পীরা ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584