মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
ফের বাঘের আতঙ্ক কোচবিহারে। তুফানগঞ্জের পর এবার চিতা বাঘের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে কোচবিহার ১ নং ব্লকের গুড়িয়াহাঁটি ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুন পল্লী এলাকায়। গতকাল গভীররাতে নতুনপল্লী এলাকায় এক বাড়িতে প্রথম এই আতঙ্ক দেখা দেয়।
ওই বাড়ির মহিলা সুমিত্রা সরকার বলেন, “রাতে ঘুমানোর পর আমার ছেলে একটা আওয়াজ শুনতে পায়। এরপর আমার ছেলেও আমি ঘর থেকে বাইরে বের হই। দেখতে পাই একটা জন্তু দৌড়ে পালিয়ে গেল। সেটা কুকুর, শিয়াল না অন্য কিছু তা বুঝতে পাইনি। এরপর দেখি বাড়ির উঠোনে ফুল গাছের ডালপালা ভাঙ্গা অবস্থায় এদিক সেদিক পড়ে রয়েছে।খরগোশ সহ খাঁচাটি যেখানে ছিল,সেখান থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে। খাঁচাটির মধ্যে আঁচড়ের দাগ রয়েছে। মনে হয় খরগোশ খাওয়ার চেষ্টা করেছিল। মাটির মধ্যে পায়ের ছাপ রয়েছে। বড় আকারের পায়ের ছাপ দেখে মনে হচ্ছে চিতাবাঘ হবে। আমরা ভীষণ আতঙ্কে আছি। বনদপ্তরে এখনও কিছু জানানো হয়নি।” এই ঘটনায় রীতিমত এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।সকাল হতে ঘটনার কথা এলাকায় আরও ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে পড়লে আতঙ্ক আরও বাড়ে।
প্রতিবেশী মহিলা রিনা দাস বলেন, “সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে দেখি ওই বাড়িতে অনেক লোকজন। পাশেই আমার বাড়ি। এসে দেখি গাছের ডালপালা ছড়ানো ছিটানো। বাঘের পায়ের ছাপের মত ছাপ। ওই দেখে তো ভীষণ আতঙ্কে আছি। গরমের জন্য রাতে জানালা খুলে ঘুমাই। এখন তো ভীষণ ভয় লাগছে। আতঙ্কে কোন কাজ করতে পাচ্ছি না। বারবার এই বাড়িতে এসে খোঁজ নিচ্ছি। কিছু পাওয়া গেল কি না জানতে।” এদিকে এই ঘটনায় ভীতি ছড়িয়েছে এলাকার অভিভাবকদের মধ্যে। শিশুদের নিয়ে তারা বেশি উদ্বিগ্ন। অভিভাবকদের অনেকের গলায় সেই আতঙ্কের সুর। তাদের কথায়, ভীষণ আতঙ্কে আছি। বাচ্চারা এদিক সেদিক যায়, দৌড়াদৌড়ি করে। কি হয় সেটা চিন্তার বিষয়।
এই বিষয়ে কোচবিহার বন দপ্তরের এক আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “এমন একটি খবর পেয়েছি। বন দপ্তরের কর্মীরা সেখানে গিয়েছিল। এমন কিছু পাওয়া যায়নি। যেই পায়ের ছাপের কথা বলছে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, ওটা বড় আকারের ভামের পায়ের ছাপ হবে। তবু বিষয়টির দিকে নজর রাখা হচ্ছে। তেমন হলে বন দপ্তরের থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584