দমকল এবং আবাসন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায় তাঁর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন।রাজনীতিতে মন্ত্রীত্ব লাভ এবং ইস্তফা দুটিই প্রচলিত।বিধানসভা অধিবেশন চলাকালীন মন্ত্রীত্বের মতো গুরুতর দায়িত্ব থেকে নিষ্কৃতি নেওয়া নিয়ে আলোচনা পর্যালোচনা জরুরি।কিন্তু শোভনের ইস্তফাকে কেন্দ্র করে স্বাস্থ্যকর সেই আলোচনা ব্যতিরেকে মন্ত্রীর ব্যক্তিগত জীবনের মুখরোচক আলোচনায় মত্ত থাকার এক আত্মঘাতী প্রবনতা লক্ষ্য করা গেল।
রাজনীতির অন্দর থেকে সংবাদমাধ্যম সর্বস্তরেই সেই অশোভন কু চর্চার চোরা স্রোত প্রবাহিত হতে দেখা গেল,সে স্রোতে হারিয়ে গেল অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের আলোচনা।বিধানসভার অধিবেশনে দেওয়া দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর পরিসংখ্যান আর মুখ্যমন্ত্রীর তথ্যে গড়মিল কেন?কেন অধিবেশন চলাকালীন একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী তাঁর অর্পিত দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করবেন?করলেও তার যথাযথ কারন জানার অধিকার জনগনের আছে,সে বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য কি? ইত্যাদি প্রশ্নের আলোচনা ব্যতিরেকে শোভনের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে আশোভন আলোচনায় মত্ত থেকে সত্যিই কি আমরা অসচেতনতার পরিচয় দিলাম না?
ক্ষমতার অলিন্দে থাকা ব্যক্তিবর্গ সব সময় প্রশ্নাতীত থাকতে চায়, আর তারজন্য তাদের কামনা থাকে সাধারণ নাগরিকের অসচেতনতা।কারন অসচেতন জনগনের উপর অনিয়মের বোঝা চাপিয়ে স্বার্থ সিদ্ধি করা সহজ হয়।শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ইস্তফাকে কেন্দ্র করে ব্যক্তিগত সোস্যাল মিডিয়ার দেওয়াল থেকে নামী সংবাদ মাধ্যম সর্বত্রই সেই অসচেতনতার প্রভাব লক্ষ্য করা গেল।
শোভন চট্টোপাধ্যায় সত্যিই কেন ইস্তফা দিলেন তার জবাব কোথায়।না মুখ্যমন্ত্রী না শোভন না দল,কেউই যথাযথ কোন কারনের স্বীকারোক্তি দেন নি।তাঁর বিরুদ্ধে কি অভিযোগ?পূর্বে নারদার মতো কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েও যদি বহাল তবিয়তে মন্ত্রীত্বে থাকতে পারেন,তবে কিএমন ঘটনা ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এই পদত্যাগ সেই প্রশ্ন থেকে গেল অন্ধকারেই।
©Newsfront
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584