অর্নিবান দে,বহরমপুরঃ
আয় ছুটে আয়, করতে লড়াই, লোকশিল্পী দল।
আমরা সুস্থ সংস্কৃতির ধারক,নই মোরা দুর্বল’
-ডাক দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী ও লোকশিল্পী সংঘ।শিল্পীর ডাকে সাড়া দিলেন শিল্পীরা।১৫ তারিখ দুপুরে বহরমপুরে জমায়েত হয়ে একসাথে দাবি দাওয়া সম্বলিত স্মারক পত্র পেশ করলেন জেলা শাসকের দপ্তরে।
বললেন, “ আমাদের প্রথম দাবি, আমরা সমাজের ছবি, আমরা তাই মনে ভাবি, আমাদের দুর্দশা কেনে। তাইতো শিল্পী বাঁচাও, শিল্প বাঁচাও, আওয়াজ উঠলো এই স্লোগানে”।
বেলা একটার সময় টেক্সটাইল মোড়ে শুরু হওয়া স্লোগানের তেজ বেড়েছে বেলা গড়ানোর সাথে সাথেই।শুধু স্লোগান নয়,শোভাযাত্রা সেজেছে নাচ, গান, লাঠিখেলা সহ নানা আঙ্গিকের শিল্পে।
আদিবাসী লোকশিল্পীদের শোভাযাত্রায় কার্যত স্তব্ধ হয়ে যায় বহরমপুর।জীবনের হাজার যন্ত্রণার কথা জেলার প্রশাসনিক কর্তাদের কাছে তুলে ধরার ইচ্ছে নিয়ে আসা শিল্পীরা নিজেদের শিল্প পরিবেশন করেন পথ চলতে চলতেই।
জারি, বোলান, লাঠি খেলা হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম থেকে।কমে যাচ্ছে ভাদু, টুসু, আলকাপ, লেটো, বিয়ের গানের চর্চা।যে কজন শিল্পী অনেক কষ্ট সহ্য করে টিকিয়ে রেখেছেন শিল্পকে।তাঁদের জন্য কিছুই করেনি সরকার।অধিকাংশ শিল্পী পাননি পরিচয়পত্র,সরকারী অনুষ্ঠান, ভাতা দেওয়া নিয়ে দুর্নীতি,রাজনীতি করছে প্রশাসন,আজ অভিযোগ তোলেন শিল্পীরা।
শোভাযাত্রা ডি এম অফিসের সামনে পৌঁছালে কালেক্টরেট মোড়ে রাস্তাতেই সভা শুরু করেন শিল্পীরা।বক্তব্য রাখেন মুজাফফর হোসেন, নহিরুদ্দিন সেখ, পাগল মন্ডলরা।মাইকে বক্তব্য রাখেন আদিবাসী লোকশিল্পীরা।শিল্পীদের গলায় ঝড়ে পরে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ।জেলা শাসকের দপ্তরে ডেপুটেশন দেয় প্রতিনিধি দল।
পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী ও লোকশিল্পী সংঘ দাবী জানিয়েছে, প্রত্যেক শিল্পীকে নূন্যতম মাসে চার হাজার টাকা ভাতা দিতে হবে।শিল্প বাঁচাতে চাই চর্চা কেন্দ্র।শিল্পীদের চাই জীবনবীমা,বাদ্যযন্ত্র, পোষাক কেনার অনুদান, জেলাশাসকের কাছে বারো দফা দাবী পেশ করা হয় ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584