নিজস্ব সংবাদদাতা,আরামবাগঃ
কিছুদিন আগেই খানাকুলে একটি বাদাম জমি থেকে কুড়িয়ে পাওয়া গিয়েছিল বন্দুক। তারপর সেই বন্দুক ঘরে এনে রেখে ছিলেন মা। সেই বন্দুক মেয়ে ঘাটতে ঘাটতে গুলি বেরিয়ে যায় এবং মায়ের পিঠে লাগে। সেই ঘটনার পর আবারো একটি ঘটনা,কাগজ কুড়াতে গিয়ে বোমা ফেটে জখম হলেন এক ব্যক্তি। ঘটনাটি ঘটেছে পুরশুড়ার ডিহিবাতপুর অঞ্চলের পঞ্চানন তলা এলাকায়।জখম ঐ ব্যক্তিকে প্রথমে পুরশুড়া ব্লক গ্রামীন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া। পরে সেখান থেকে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।পুলিশ জানিয়েছে, জখম ঐ ব্যক্তির নাম সোমনাথ পাল। তার বাড়ি শেওড়া ফুলিতে।বোমা ফেটে যাওয়ায় তিনি তার দুই হাতের আঙুলে মারাত্মক চোট পান। খবর পেয়ে পুরশুড়া থানার ওসি অর্ণব গঙ্গোপাধ্যায় পুলিশ কর্মীদের নিয়ে ঐ এলাকায় গিয়ে হাজির হন।আহত ব্যক্তি সোমনাথ কে উদ্ধার করে পুরশুড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়।তার হাত দিয়ে রক্ত ঝরতে থাকে। ঐ স্থান থেকে বেশ কয়েকটি তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ।
জানা গিয়েছে,শেওড়াফুলির বাসিন্দা সোমনাথ পাল ও তার স্ত্রী পূজা পাল দুজনে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে রাস্তা ঘাটে ও বিভিন্ন জঞ্জালের স্তূপ থেকে কাগজ কুড়িয়ে বেড়ান।এটাই তাদের পেশা। সেই ভাবে ঘুরতে ঘুরতে এদিন পুরশুড়ার ডিহিবাতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চানন তলা এলাকাতে কাগজ কুড়াচ্ছিলেন। পরিত্যক্ত একটি ঘরের পাশে জমিতে একটি প্লাস্টিকের বালতি সহ নোংরা আবর্জনার স্তূপ থেকে তারা বেছে বেছে কাগজ কুড়াচ্ছিলেন। অপেক্ষাকৃত ভাল কিছু কাগজ তারা তাদের ঝোলায় ভরতে থাকেন। সেই সময়ে আবর্জনার স্তূপের মধ্যে পড়ে থাকা ঐ বালতির মধ্যে হাত ঢুকিয়ে কাগজ বাছাই করছিলেন। নাড়াচাড়া করতে গিয়ে একটি বোমা বিকট শব্দে ফেটে যায়। তখনই তার দুই হাতের আঙ্গুল ফেটে যায়।রক্ত ঝরতে থাকে।বোমার আওয়াজে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন।তারাই পুলিশ কে খবর দেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি রাজনৈতিক কারণে এলাকায় যে সব আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা মজুত করা হয়েছে, অতিসত্বর তল্লাশি চালিয়ে পুলিশের উদ্ধার করা উচিত তা না হলে বড় বড় দুর্ঘটনা যেকোনো সময় ঘটতে পারে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584