ওয়েবডেস্কঃ
তিনি মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খান । বয়স ৫৪ বছর । বলিউডের অন্যতম সিনিয়র অভিনেতা আমির খান শিশু শিল্পী হিসেবে তাঁর অভিনয় জীবন শুরু করেন চাচা নাসির হুসেনের ‘ইয়াদোঁ কি বারাত’ (১৯৭৩) ছবির মাধ্যমে । তবে একজন পেশাদার অভিনেতা হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু হয় হোলি(১৯৮৪) ছবির মাধ্যমে । বাণিজ্যিকভাবে অভিনেতা হিসেবে তাঁর প্রথম সফল ছবি কেয়ামত সে কেয়ামত তক । উল্লেখ্য এই ছবির জন্যই তিনি ‘শ্রেষ্ঠ নবাগত অভিনেতা’ হিসেবে ফিল্ম ফেয়ার পুরস্কার পান।
তবে অভিনেতা হিসেবে তার অবসরের ব্যাপারে সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন “আমি সিনেমা তৈরির প্রতি আকৃষ্ট এবং আমি যৌথভাবে তারে জমিন পর সিনেমার পরিচালনা করেছি। আমি চলচ্চিত্র নির্মাণ এবং অভিনয় দু’টোই ভালোবাসি এবং আমি দু’টোকেই বিচ্ছিন্ন করে দেখতে পারি না। কিন্তু এখন আমি এটুকু বলতে পারি যে, একজন অভিনেতা হিসেবেই আমার কর্মজীবন শুরু করেছি এবং আমি যখনই একজন পূর্ণাঙ্গ চলচ্চিত্র নির্মাতা হয়ে উঠব তখন আমি অভিনয় বন্ধ করে দেব। এখন, আমি অভিনয় বন্ধ করতে চাই না, তাই আমি আমার ভিতরে পরিচালক সত্ত্বাকে ধরে রেখেছি। ”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, হলিউডে যাওয়ার ব্যাপারে এই অভিনেতার অভিমত ,”আমার কাছে একজন অভিনেতা হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ হ’ল যে, সিনেমাটা কী বলতে চাইছে। এটি একজন অভিনেতা হিসাবে আমাকে উত্তেজিত করে। জাপান বা আফ্রিকার কেউ যদি আমাকে কোনও কাজের প্রস্তাব দেন তবেও আমি তা করব।”
“তারে জামিন পার ” সিনেমাটি পরিচালনার মধ্য দিয়েই তাঁর সফল পরিচালক সত্তার পরিচয়টি সামনে আসে ।
সফল প্রযোজক হিসেবেও তার কৃতিত্ব কম নয় । তিনি লগান, তারে জমিন পর, জানে তু ইয়া জানে না, পিপলি লাইভ, ধোবি ঘাট, ডেলি বেলি, তালাশ, দঙ্গাল এবং সিক্রেট সুপারস্টার প্রভৃতি সিনেমার প্রযোজনা করেছেন ।
এ প্রসঙ্গে আমির খানের বক্তব্য , “আমি চলচ্চিত্র তৈরির সময় এটা ভাবিনি যে ঠিক কোন জায়গা থেকে বানানো শুরু করব। সাধারণত, লোকেরা তাঁদের প্রোডাকশন হাউসের ব্যবসা বাড়ানোর জন্য চলচ্চিত্র তৈরি করে। এটা কিন্তু আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য নয়। সৃজনশীলতাই আমাদের কর্মসূচি। যতক্ষণ না আমরা ভালো স্ক্রিপ্ট পাই, আমরা সিনেমা বানাই না।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584