নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতাঃ
গতকাল উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করতে গিয়ে হায়ার সেকেন্ডারি কাউন্সিলের প্রধান মহুয়া দাস একটি বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন। উচ্চ মাধ্যমিকে সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপক মুর্শিদাবাদ জেলার এক পরীক্ষার্থীর কথা বলতে গিয়ে তাঁর ধর্ম উল্লেখ করেন, একাধিকবার। যা নিয়ে গতকাল থেকে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়াতে। সংসদ প্রধানের মন্তব্যের ফলে তাঁর পদত্যাগের দাবিও ওঠে।
আজ শুক্রবার ‘ধর্ম’ বিতর্কের একটি প্রত্যাশিত ও মানানসই ব্যাখ্যা দিয়ে নিজের অবস্থান জানালেন তিনি। মহুয়া দাস এদিন বলেন, নেহাতই আবেগের বশে তিনি রুমনার ধর্ম উল্লেখ করেন, অন্য কোন অভিপ্রায় তাঁর আদৌ ছিলনা। তিনি বলেন, মেয়েটি শিক্ষার রত্ন, ধর্ম উল্লেখ করে কোনভাবে তাকে হেয় করার কোন অভিপ্রায় তাঁর ছিলনা।
গোটা বিতর্ক সম্পর্কে সংসদ প্রধান মহুয়া দাস বলেন ‘সংসদের ইতিহাসে প্রথমবার এরকম ভালো রেজাল্ট করেছে কেউ। ওঁর কথা বলার সময় আবেগের বশে বেগম রোকেয়ার কথা মনে করছিলাম, যিনি এরকম একইভাবে লেখাপড়ায় ভালো এবং সাধারণ ঘরানা থেকে উঠে এসেছিলেন। সাংবাদিকদের তথ্য জানানোর সময় তাঁদের বুঝতে সুবিধার জন্য ‘তথ্য’ হিসেবে বিষয়টি উল্লেখ করেছি। মেয়েটি শিক্ষার রত্ন, তাঁর গৌরব যাতে সংসদ সবার মধ্যে ভাগ করে নিতে পারে, সেই অভিপ্রায় থেকেই ওভাবে কথাগুলো বলেছিলাম।’
আরও পড়ুনঃ ছাত্রছাত্রীর যোগ্যতা নয় ‘ধর্মই’ যোগ্যতার মাপকাঠি !
এই বিতর্কের আঁচের সুবিধা নিতে স্বভাবসুলভ ভাবেই তৎপর বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের পক্ষে শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য, এই ঘটনায় শুধু রুমানা সুলতানাকে নয় একটি সমগ্র সম্প্রদায়কে অসম্মান করা হয়েছে। পাশাপাশি তৃণমূল নেতা তাপস রায় বলেন, ছাত্রী, পড়ুয়া এই পরিচয়ই যথেষ্ট। বাকি যা হয়েছে, তা না হলেই ভালো হত।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584