নিজস্ব সংবাদদাতা, মুর্শিদাবাদঃ
বাল্য বিবাহ যেনো এখন সাধারণ ব্যাপার হয়ে গেছে গ্রাম গঞ্জে। যেখানে রাজ্য সরকার বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে একাধিক কর্মসূচি করে চলেছেন। এমনকি রাজ্য সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি অনেক সংস্থা বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছেন। এমনকি পুলিশ প্রশাসন সর্বদা সজাগ থাকেন।
এদিন মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গি থানার সাদিখাঁন দেয়ার অঞ্চলের জোতছিদাম গ্রামের টিপু সুলতান মালিথ্যার কন্যা জান্নাতন ফেরদস নামের এক ১৪ বছরের নাবালিকার বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল সাদিখাঁন দেয়ার অঞ্চলের গাছতলা গ্রামের সরিফুল মন্ডলের ছেলে ২৬ বছরের রবিউল মন্ডল নামের এক যুবকের সঙ্গে । রাত্রি ১১ টার সময় এই খবর আসে জলঙ্গি থানার এস আই অনিমেষ দাসের কাছে।
আরও পড়ুনঃ খড়গ্রামে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে রক্তদান শিবির
খবর পেয়ে এস আই অনিমেষ দাস সঙ্গে সঙ্গে একটি পুলিশের টিম সহ বেসরকারি সংস্থার সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে সেই ১৪ বছরের নাবালিকার পরিবারের বাড়িতে হাজির হয়। ছেলে ও মেয়ের বাবা মা কে থানায় নিয়ে আসেন। মেয়ের পরিবারকে বোঝান এস আই অনিমেষ দাস তিনি বলেন যে এই অল্প বয়সে মেয়েদের বিয়ে দিলে অনেক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। তারপরে আবার সবে মাত্র ক্লাস এইটে পড়াসোনা করছে। তার আগামী দিনের সুন্দর ভবিষ্যৎ শেষ করে দিতে চলেছেন বলেও বোঝানোর চেষ্টা করেন।
আরও পড়ুনঃ বিবাহ বার্ষিকীতে রেড ভলান্টিয়ারদের পাশে শিক্ষক দম্পতি
দীর্ঘক্ষণ বোঝানোর পরে তাদের ভুল বুঝতে পেরে এস আই অনিমেষ দাসের কাছে লিখিত ভাবে তাদের ভুল স্বীকার করেছেন। এবং মেয়ের ১৮ বছর পূর্ণ হলে বিবাহ দেবেন বলে জানান মেয়ের বাবা। অন্য দিকে ছেলের বাবা সফিকুল মন্ডল জানান যে ওই মেয়ের ১৮ বছর পূর্ণ হলেই তার ছেলে রবিউল মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে দেবেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584