ইদের পরেই জামাইষষ্ঠী, মুখে হাসি ব্যবসায়ীদের

0
90

সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ

Jamai sasti after eid
ছবিঃপ্রতিবেদক

ইদের ঠিক পরেই জামাইষষ্ঠী। জোড়া উৎসবের আবহে বর্ধমান শহরের ব্যবসায়ীদের মুখে চওড়া হাসি।মিষ্টির দোকানগুলিতে ব্যাপক ভিড়। যদিও জামাইরা কিন্তু এখন স্বাস্থ্যসচেতন।

কথিত আছে, জনৈক গৃহবধূ স্বামীগৃহে নিজে মাছ চুরি করে খেয়ে বারবার বিড়ালের ওপর দোষ দিচ্ছিল।এরপর একদিন তার সন্তান হারিয়ে যায়। পাপের ফল ভেবে সন্তান ফিরে পাওয়ার জন্য সে বনে গিয়ে দেবী ষষ্ঠীর আরাধনা শুরু করে।গৃহবধূর আরাধনায় দেবী সন্তুষ্ট হলে সে সন্তান ফিরে পায়।

Jamai sasti after eid
ছবিঃপ্রতিবেদক

এই কারণে ষষ্ঠীদেবীর আর এক নাম অরণ্যষষ্ঠী।এদিকে মাছ চুরি করে খাওয়ার অপরাধে গৃহবধূর শ্বশুর-শাশুড়ি তাকে পিতৃগৃহে যাওয়া বন্ধ করে দেয়।ফলে ওই গৃহবধূর মা-বাবা তাঁদের সন্তানের মুখ দেখা থেকে বঞ্চিত হন। মেয়েকে দেখতে উন্মুখ মা-বাবা ষষ্ঠীপূজার দিন শ্বশুরবাড়িতে আসার জন্য জামাইকে সাদরে নিমন্ত্রণ জানান।সেই থেকেই নাকি এই প্রথার প্রচলন।জামাইষষ্ঠী একটি লোকায়ত প্রথা। ষষ্ঠীপূজা রূপান্তরিত হয়েছে জামাইষষ্ঠীতে।

আরও পড়ুনঃ অব্যাহত বিজয় উদযাপন,পথচারীদের মিষ্টি মুখ বিজেপির

গতকাল থেকে বর্ধমান শহরের মিষ্টির দোকান গুলিতে পা ফেলার জায়গা নেই।জামাই বাবাজীকে আদর করতে কসুর রাখছেন না শ্বশুর শ্বাশুড়ি।মিষ্টির দোকানগুলিতে গিয়ে দেখা গেলো,কালাকাঁদ, সন্দেশ
থেকে শুরু করে বর্ধমানের বিখ্যাত সীতাভোগ মিহিদানা ব্যাপকভাবে বিক্রি
হচ্ছে।তাছাড়া পটল ভোগ, টোস্ট, চিত্তরঞ্জন বিকোচ্ছে দেদার।দোকানদারদের সাথে কথা বলে জানা গেল এখনকার জামাইরা স্বাস্থ্যসচেতন। অনেকের আবার রোগের জ্বালায় মিষ্টি খাওয়া বারণ। কিন্তু তা বলে আজকের দিনে কি মিষ্টিমুখ টুকু হবে না? না সে পথ বাতলে দিচ্ছেন দোকানদারেরা। সুগার ফ্রি মিষ্টি হরেক রকমের। রসগোল্লার হাঁড়ির থেকে বেকড রসগোল্লা অনেকেই পছন্দ করছেন।

বেশ কয়েকটি দোকানে জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে তৈরি করা হয়েছে বিশেষ সন্দেশ। মিষ্টির উপরে লাল সবুজের জামাইষষ্ঠী ছাপ। সুতরাং বলা যায় ইদের পরেই জামাইষষ্ঠীতে বর্ধমানের ব্যবসায়ীদের মুখে চওড়া হাসি।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here