নিজস্ব সংবাদদাতা,ঝাড়গ্রামঃ
হাসপাতাল চত্বর থেকে বাইক চুরির কিনারা করল ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ। ৪৮ ঘন্টার মধ্যে উদ্ধার হল চুরি হয়ে যাওয়া বাইকটি।পুলিশ বাইকটি উদ্ধার করেছে উত্তম মাহাতো নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে। তার বাড়ি মানিকপাড়ার ঝাঁটিবাঁধ এলাকায়।
উত্তম পুলিশের কাছে দাবি করেছে, সে বাইকটি কিনেছিল।
বুধবার ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে তোলা হয় উত্তমকে।পুলিশ বাইক চুরি কাণ্ডে মূল চক্রীদের ধরতে দশ দিনের পুলিশী হেফাজতের আবেদন করেন।বিচারক পাঁচ দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেন।
গত রবিবার সন্ধ্যায় ঝাড়গ্রাম জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চত্বর থেকে দুঃসাহসিক বাইক চুরির ঘটনা ঘটে। বাইকের তালা ভেঙে গাড়ি নিয়ে চম্পট দিয়েছিল দুই চোর। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজে সেই ছবি ধরা পড়ে ছিল। হাসপাতালের ওয়ার্ড বয় আশিষ মিশ্র প্রতিদিনের মত ওই দিনও ডিউটি করতে তাঁর আত্মীয়ের বাইক নিয়ে এসেছিলেন। এশ কালারের আপ্যাচে আরটি বাইকটি নম্বর ডাব্লিউবিএ ১৮২৯।বাইকের সামনে ইংরেজি অক্ষরের বড় হাতে ‘বি’ লেখা রয়েছে।গাড়ির মালিক পরিতোষ মিশ্র তাঁর আত্মীয়কে বাইকটি দিয়েছিলেন চালানোর জন্য। ওই দিন বিকেল পাঁচটা নাগাদ সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে একটি মোটর সাইকেলে করে সাদা ও হলুদ গেঞ্জি পরা দুই যুবক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে দিয়ে ঢুকল। তারপর হাসপাতালের ক্যান্টিনের বিপরীতে সারি দিয়ে রাখা বাইক গুলির পাশে নিজেদের বাইকটি দাঁড় করালো। হলুদ গেঞ্জি পরা ছেলেটি প্রথমে এসে চুরি যাওয়া বাইকটির হ্যান্ডেল লক খুলে দিল। তারপরে সাদা গেঞ্জি পরা ছেলেটি এসে বাইকটি নিয়ে চম্পট দিল। আর হলুদ গেঞ্জি পরা ছেলেটি চুরি করতে আসা নম্বরহীন গাড়িটি চালিয়ে পালায়।
আরও পড়ুনঃ হাসপাতাল কর্মীর বাইক চুরি ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল চত্ত্বর থেকে
এই ঘটনায় ঝাড়গ্রাম হাসপাতাল চত্ত্বরে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল। কারন ক্যান্টিনের পাশেই বেসরকারি নিরাপত্তা রক্ষীরা থাকেন হাসপাতালে গেটের দায়িত্বে। তাই চোখের সামনে এহেন ঘটনায় হাসপাতালের লোকের যোগসাজগ রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584