পিয়া গুপ্তা,উত্তর দিনাজপুরঃ
স্কুল শিক্ষকের বিরুদ্ধে একশো দিনের জবকার্ড তৈরির অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পেল প্রশাসন।
ইটাহারের বিডিও এম ডি লামা বলেন,“ঘটনার তদন্তে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে।লিখিত মুচলেকা দিয়ে ইন্দু ভূষণ বর্মণ নামে ওই শিক্ষক নিজের বেআইনি কৃতকর্মের কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন।তাঁর নামে ইস্যু হওয়া জব কার্ডটি বাতিল করা হবে”
ইটাহার ব্লকের সান্ধিয়া অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০১১ সাল থেকে চাকরি করছেন ইন্দু ভূষণবাবু।সরকারি চাকরি থাকা সত্ত্বেও ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর ইন্দুবাবু বেআইনি ভাবে নিজের নামে একশো দিনের কাজের একটি জব কার্ড রেজিস্ট্রেশন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল।ইন্দুবাবু তাঁর শিক্ষক পরিচয় গোপন রেখে বেআইনিভাবে এমজিএনআরইজিএস প্রকল্পে জব কার্ড রেজিস্ট্রেশন করিয়েছিলেন।
শুধু তা-ই নয়,ওই কার্ড দেখিয়ে কাজের আবেদন করে তিনি ও তাঁর পরিবারের আরও দুই সদস্য মিলে মোট ৮১ দিন পুকুর খননের কাজও করেন।সেই কাজের বিনময়ে মজুরি হিসেবে তাঁদের অ্যাকাউন্টে মোট ১৫ হাজার ৪৭১ টাকা জমা পড়ে।
বিষয়টি জানাজানি হতেই গত সোমবার বানবোল গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা সম্মিলিতভাবে তাঁর বিরুদ্ধে ইটাহারের বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ জানান।
অভিযোগকারীদের অন্যতম বিজয় বর্মণ বলেন,“গ্রামীণ এলাকার গরিব বেকারদের জন্য ১০০ দিনের গ্রামীণ কর্ম নিশ্চয়তা প্রকল্প চালু করা হয়েছে।শ্রমিক শ্রেণীর মানুষদের কাজ ও উপার্জনের পথ সুনিশ্চিত করার উদ্দেশ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের এই প্রকল্প।কিন্তু এভাবে সরকারি চাকরিরত মানুষরা যদি দুই নম্বরি পথে আইনের চোখে ধুলো দিয়ে জব কার্ড বানিয়ে নিয়ে গরিব শ্রমিক শ্রেণীর টাকা মেরে খায় তাহলে আমরা খাব কী?”
এই অভিযোগ পেতেই নড়েচড়ে বসে ইটাহার ব্লক প্রশাসন।গত বুধবার ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন ইটাহারের বিডিও মাঘপোন ধেনডুপ লামা।ইটাহার ব্লকের এমজিএনআরইজিএস সেলের একটি তদন্তকারী দল ঘটনার তদন্তে নামে।
আরও পড়ুনঃ বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ ধুমসিপাড়া চা বাগানে
সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক জানান, শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সত্যি বলে তদন্তে প্রমাণ পাওয়া গেছে। আমরা তদন্ত রিপোর্ট জেলায় পাঠাচ্ছি। উপর মহলের নির্দেশ মতো তাঁর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী প্রশাসনিক পদক্ষেপ করা হবে।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584