মনিরুল হক,কোচবিহারঃ
জনসংযোগ কর্মসূচিকে হাতিয়ার করে হারানো জমি ফিরে পেতে মরিয়া তৃণমূল।দিদিকে বলো কর্মসূচি ইতিমধ্যেই ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে কোচবিহার জেলায়।
সম্প্রতি সিতাই কেন্দ্রের বিধায়ক জগদীশ বর্মা বসুনিয়া তার বিধানসভা এলাকায় দিদিকে বলো কর্মসূচি সংগঠিত করেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।
এই কর্মসূচি সফল হওয়ার পরেই এলাকার কর্মীরা তাদের মনোবল ফিরে পায়। এরপরই শনিবার সকালে সিতাইয়ে কেন্দ্র বিরোধী আন্দোলনে জমায়েত হয় তৃণমূল কর্মীরা।
সেখান থেকেই তাদের দখল হয়ে যাওয়া দলীয় কার্যালয় পুনঃউদ্ধার করে এবং এদিনই বিজেপি থেকে ২ শতাধিক কর্মী তৃণমূলে যোগদান করে বলে দাবি করা হয়েছে।
তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন ওই এলাকার বিধায়ক জগদীশ বর্মা বসুনিয়া,নুর আলম হোসেন।লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর এই বিধানসভা কেন্দ্রে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি হয়।রাজনৈতিক হিংসায় উত্তপ্ত হয় সিতাই। এমনকি সন্ত্রাসের কারনে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেরান ওই এলাকার নির্বাচিত তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ বর্মা বসুনিয়া।
আরও পড়ুনঃ কুড়ি হাজার বিজেপি সদস্যকে তৃণমূলে যোগদান করানোর ঘোষণা অনুব্রতর
লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার কেন্দ্রে বিজেপি জয়ী হলেও এই বিধানসভা এলাকা থেকে বড় রকমের ব্যবধানে তৃণমূল এগিয়ে ছিল।তবে ফল প্রকাশের পর বিজেপির ব্যাপক প্রভাব সেখানে লক্ষ্য করা যায়।ফের রবিবার তৃণমূল দাপটে এলাকা দখলের রাজনীতিতে অনেকটাই এগিয়ে রইল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
এবিষয়ে কোচবিহার জেলা বিজেপি নেতা হেমচন্দ্র বর্মণ বলেন, “সিতাইয়ে ভয় দেখিয়ে কিছু মানুষকে তৃণমূলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে,এটি একটি অঘটন মাত্র।সময়ের সাথে সাথে সব ঠিক হয়ে যাবে।”
এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা তথা সিতাই কেন্দ্রের বিধায়ক জগদীশ বর্মা বসুনিয়া বলেন, “ভুল বুঝে কিছু মানুষ বিজেপিতে গিয়েছিল, বিজেপির প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করে তারা আবার দলেই ফিরে এসেছে।কিছু সময়ের জন্য বিজেপির মদতে দুষ্কৃতীরা যে সন্ত্রাস চালিয়েছিল তারা এখন এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেরাচ্ছে।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584