বিচার ব্যবস্থার নিরপেক্ষতা-স্বাধীনতার সাথে আপস করেছেন গগৈ, মত প্রাক্তন সতীর্থর

0
208

ওয়েবডেস্ক নিউজফ্রন্ট:

গতকালই এক নির্দেশিকা জারির মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের মনোনীত প্রার্থী হিসাবে ভারতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈকে রাজ্যসভায় পাঠানোর বন্দোবস্ত করা হয়েছে।

২০১৮ সালে নজিরবিহীন ভাবে সাংবাদিক সম্মেলনে সেই চার বিচারপতি (ছবি-সংগৃহীত)

তারপরেই বিরোধী সহ তাঁর সতীর্থরাও এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন। বিচার ব্যবস্থা কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে বিকিয়ে গেছে বলে  উঠেছে অভিযোগ। রাম মন্দির সহ বহু বিতর্কিত এনআরসি মামলা ও রাফাল মামলায় একটি বিশেষ দলের ফায়দা করে দেওয়ার রিটার্ন গিফ্ট হিসাবে তিনি রাজ্য সভার সদস্য পদ পেয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। উত্তাল  হয় সোশ্যাল মিডিয়া! রঞ্জন গগৈ নিজে মন্তব্য করেন যে দিল্লিতে গিয়ে শপথ নেওয়ার পর তিনি এ বিষয়ে মুখ খুলবেন। কিন্তু তাঁর সতীর্থ বিচারপতিগণ একে একে মুখ খোলায় বেধেছ বিতর্ক। প্রথমে মদন লকুর , তারপর কুরিয়ান জোসেফ।

প্রথমে জাস্টিস মদন লকুর মন্তব্য করেন  জল্পনা ছিল যে গগৈকে কোনো না কোনো সম্মান জানানো হবে। রাজ্যসভায় মনোনয়ন আশ্চর্যের ব্যাপার নয় । আশ্চর্যের ব্যাপার হল এটা যে ব্যাপারটা এত তাড়াতাড়ি ঘটল। এই সিদ্ধান্তের ফলে বিচার ব্যবস্থার স্বাধীনতা-নিরপেক্ষতা প্রশ্নের মুখে পড়বে। তিনি প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে মন্তব্য করেন-  এটা কি বিচার ব্যবস্থার পতন নয়?

তারপরই, আরেক সতীর্থ প্রাক্তন বিচারপতি জাস্টিস কুরিয়ান জোসেফ আরো এক ধাপ এগিয়ে মন্তব্য করেন,  “রাজ্যসভার সদস্য পদ গ্রহণ করার মাধ্যমে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ  বিচার ব্যবস্থা সম্বন্ধে সাধারণ মানুষের বিশ্বাস নড়িয়ে দিয়েছেন।” তিনি ‘বিস্মিত’ হয়ে আরও মন্তব্য করেন “বিচার ব্যবস্থার নিরপেক্ষতা ও স্বাধীনতার সঙ্গে আপস করেছেন” গগৈ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে তৎকালীন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জাস্টিস দীপক মিশ্রের  বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করে হৈচৈ ফেলে দিয়েছিলেন জাস্টিস রঞ্জন গগৈ, জাস্টিস চেলামেশ্বর, জাস্টিস মদন লকুর ও জাস্টিস কুরিয়ান জোসেফ।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here