শরীয়তুল্লাহ সোহন, ওয়েব ডেস্কঃ
এক বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর আজ বুধবার থেকে আবার খুলে দেওয়া হচ্ছে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার কর্তারপুর করিডর। বিভিন্ন টাইমস ইন্ডিয়া,এনডিটিভি থেকে শুরু করে প্রতিটি প্রথম সারির বার্তা সংস্থা তাদের প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করেছে।
গুরু নানকের জন্মবার্ষিকীর প্রাক্কালে শিখ পুণ্যার্থীদের জন্য করিডরটি খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ভারত সরকার। এই করিডর ব্যবহার করে ভারতীয় শিখরা পাকিস্তানে অবস্থিত গুরুদুয়ারা উপাসনালয় পরিদর্শনের সুযোগ পেয়ে থাকেন।
বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য কর্তারপুর করিডর হলো ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার ভিসামুক্ত সীমান্ত পারাপারস্থল। গুরু নানকের ৫৫০তম জন্মদিন উপলক্ষে ২০১৯ সালে প্রথম এই করিডর চালু হয়। কিন্তু করোনা মহামারির কারণে গত বছরের মার্চ থেকে এই করিডর বন্ধ থাকে। গতকাল মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ঘোষণা দেন, শুক্রবার গুরু নানকের জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে বুধবার কর্তারপুর করিডর আবার খুলে দেওয়া হবে।
টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে অমিত শাহ লিখেছেন, ‘বিপুলসংখ্যক শিখ পুণ্যার্থীর কথা মাথায় রেখে বড় একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার কাল (বুধবার) থেকে কর্তারপুর সাহিব করিডর আবার খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ সরকারের এমন সিদ্ধান্ত দেশের মানুষের আনন্দ-উচ্ছ্বাস বাড়িয়ে দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন অমিত শাহ। ৪.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই করিডর এক বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ রাখার জন্য পাকিস্তানকে দোষারোপ করেছিল ভারত।
আরও পড়ুনঃ ২০২৪-২০৩১ সাল পর্যন্ত সাত বছরে আয়োজিত হবে আটটি বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট, ঘোষণা আইসিসির
এনডিটিভি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতির কারণে ভারত থেকে ভ্রমণের ব্যাপারে বিধিনিষেধ আরোপ করে পাকিস্তান। এই বিধিনিষেধ জারির পর ২০২০ সালের মার্চে বন্ধ হয়ে যায় কর্তারপুর করিডর। করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে চলতি বছরের ২৭ জুন থেকে এই করিডর আবার খুলে দেওয়ার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করে পাকিস্তান। ইসলামাবাদ তখন জানায়, তারা ৩ অক্টোবর এই করিডর খুলে দেবে। তবে ভারতের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে সাড়া দেওয়া হচ্ছিল না। অবশেষে গতকাল করিডর খুলে দেওয়ার ঘোষণা দিল ভারত।
আরও পড়ুনঃ আগামী ২১ নভেম্বর পর্যন্ত রাজধানীর দূষণ নিয়ন্ত্রণে জারি একগুচ্ছ নির্দেশিকা
তবে পাকিস্তানের এক কর্মকর্তার ভাষ্য, তাঁদের পক্ষ থেকে করিডরটি কখনো বন্ধ রাখা হয়নি। বরং শিখ পুণ্যার্থীরা যাতে এই করিডর ব্যবহার করে পাকিস্তানে প্রবেশ করতে পারেন, সেই জন্য তাঁরা ভারতীয় কর্তৃপক্ষের ছাড়পত্রের অপেক্ষায় ছিলেন।
দেশভাগের পর বেশিরভাগ শিখ ধর্মাবলম্বী পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে যান। তবে ২০ হাজারের মতো শিখ ধর্মাবলম্বী পাকিস্তানে থেকে যান। দুই দেশের মধ্যে বিরোধপূর্ণ সম্পর্কের জেরে দশকের পর দশক ধরে পাকিস্তানের ভেতরে অবস্থিত গুরুদুয়ারা উপাসনালয়ে যাওয়ার সুযোগ পাননি ভারতীয় শিখরা। ২০১৯ সালে কর্তারপুর করিডর চালু হলে এই সুযোগ তৈরি হয়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584