নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ
“এনসিসি আইন কখনওই রূপান্তরকামীদের অধিকারের আইন প্রতিরোধ করতে পারে না”- নজিরবিহীন রায় কেরালা হাইকোর্টের। নিজের অনুভূত(সেলফ পারসিভড) লিঙ্গ অনুযায়ী এনসিসি ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করতে পারবেন রূপান্তরকামী নাগরিকেরা, জানিয়ে দিল কেরালা হাইকোর্ট।
কেরালার এক কলেজ পড়ুয়া রূপান্তরিত হিনা হানিফা, কলেজে এনসিসিতে যোগদান করতে চাইলে রূপান্তরকামী মানুষ হিসেবে তাঁকে নিতে অস্বীকার করে কর্তৃপক্ষ। এনসিসি অ্যাক্ট ১৯৪৮ অনুযায়ী রূপান্তরকামীর প্রবেশাধিকার নেই এনসিসিতে, এই কারণে হিনা যোগ দিতে পারবেন না বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। আদালতের দ্বারস্থ হন হিনা। বিচারপতি অনু শিবরামন সোমবার এই মামলার এক নজিরবিহীন রায় দেন।
আদালত জানায়, এনসিসি অ্যাক্ট কোনোভাবেই রূপান্তরকামী চেতনার মানুষদের অধিকার খর্ব করতে পারে না। হিনা নিজেকে একজন তৃতীয় লিঙ্গের মহিলা বলে মনে করেন, সেটাই তাঁর জেন্ডার আইডেন্টিটি। অতএব তিনি সিনিয়র গার্লস ডিভিশনে যোগদান করার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আরও পড়ুনঃ ৩১ মার্চ থেকে ব্যাংকের আইডি কোড-সহ বেশ কিছু বদলের সিদ্ধান্ত
আদালত জানিয়েছে, “এনসিসি অ্যাক্ট ১৯৪৮ কোনোভাবেই ট্রান্সজেন্ডার রাইটস অ্যাক্ট ২০১৯-কে খর্ব করতে পারেনা। বিচারপতি শিবরামনের সিঙ্গল বেঞ্চ জানায়, “ট্রান্সজেন্ডার রাইটস অ্যাক্ট ২০১৯ রূপান্তরকামী লিঙ্গের মানুষদের জন্য সংবিধানের ১৪, ১৫, ১৯, ২১ ধারার অধিকারগুলি সুনিশ্চিত করার জন্যই আনা হয়েছিল।”
আরও পড়ুনঃ জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্র পরিচালক এসপি জননাথনের জীবনাবসান
আদালত জানিয়েছে, এনসিসি-র সিনিয়ার গার্লস ডিভিশনে ভর্তির যাবতীয় পদ্ধতি যদি হিনা পার করতে পারেন তাহলে অন্য আর পাঁচজনের মতোই তিনিও যোগদান করার আবেদন জানানোর অধিকারী। হিনা নিজেকে মহিলা হিসাবে অনুভব করেন সে কারণে তিনি ইতিমধ্যে দুটি সেক্স রি-অ্যাসাইনমেন্ট সার্জারির মধ্যে দিয়ে গেছেন। নিজেকে তিনি মহিলা বলে মনে করছেন সেক্ষেত্রে সেটাই তাঁর জেন্ডার আইডেন্টিটি।”
পাশাপাশি, আদালত এনসিসি কর্তৃপক্ষকেও নির্দেশ দিয়েছে তাদের নিয়ম পরিবর্তন করার জন্য। এনসিসি আইনের ৬ নম্বর ধারায় রূপান্তরকামী মানুষদের যোগদানের বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে সংযোজনের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584