ফের পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু! স্বরাষ্ট্রসচিব ও ডিজি–র কাছে রিপোর্ট তলব কলকাতা হাইকোর্টের

0
61

শুভম বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতাঃ

রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, তত পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা বেড়ে যাচ্ছে। পূর্ব মেদিনীপুরে পটাশপুর গ্রামের মদন ঘোড়ুইয়ের পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর পর এবার মল্লারপুরে পুলিশি হেফাজতে নাবালকের রহস্যমৃত্যু সাম্প্রতিক রাজনীতিতে রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে। সেই ঘটনায় ফের রাজ্য পুলিশ–প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট।

kolkata high court | newsfront.co
ফাইল চিত্র

রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব এবং ডিজির কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন এবং বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, ৩০ অক্টোবর মল্লারপুর থানার লকআপে পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু হয় চুরির অভিযোগে ধৃত শুভ মেহেনা নামে ১৪ বছরের এক কিশোরের। সেই ঘটনায় আগেই বীরভূমের পুলিশ সুপারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছিল আদালত। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট না হওয়ায় এবার রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজি–র কাছে রিপোর্ট তলব করল হাইকোর্ট। আদালত ২৫ নভেম্বরের মধ্যে ওই রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। তা দেখার পরই পরবর্তী নির্দেশ দেবে আদালত।

আরও পড়ুনঃ মাদারিহাটে চা চক্রে যোগ দিয়ে বাংলা জয়ের বিষয়ে আশা প্রকাশ দিলীপের

তবে এই ঘটনায় কোনো জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়নি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর দেখে কলকাতা হাইকোর্ট মল্লারপুরের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হস্তক্ষেপ করেছে। প্রথমে পুলিশ সুপারের রিপোর্ট তলব করা হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত পুলিশ সুপারের রিপোর্টের ব্যাপারে আদলতকে জানালে সেই রিপোর্টে একাধিক জায়গায় ধোঁয়াশা থাকায় এবার স্বরাষ্ট্র সচিব ও ডিজির কাছে রিপোর্ট তলব করল হাইকোর্ট।

আরও পড়ুনঃ বেসরকারি হাসপাতালের ফাইনের টাকায় অপুষ্টিতে ভোগা শিশুদের ডিম খাওয়াবে স্বাস্থ্য কমিশন

উল্লেখ্য, ২৯ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার একটি চুরির ঘটনায় শুভ মেহেনা নামে ওই কিশোরকে গ্রেফতার করে বীরভূমের মল্লারপুর থানার পুলিশ। নাবালক হওয়ায় তাঁকে লক আপে না রেখে থানায় বসিয়ে রাখা হয়। পুলিশের দাবি, রাতে শৌচাগারে যায় ওই কিশোর। দীর্ঘক্ষণ শৌচাগার থেকে না বেরনোয় সেখানে গিয়ে পুলিশকর্মীরা দেখেন আত্মঘাতী হয়েছে সে।

যদিও পুলিশের এই দাবি মানতে চায়নি বিজেপি। বিজেপি যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি সাংসদ সৌমিত্র খাঁর অভিযোগ, ‘ওই কিশোরকে হেফাজতে পিটিয়ে খুন করেছে মল্লারপুর থানার পুলিশ।’ কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্টে নাবালকের দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন নেই বলে জানানো হয়েছে। তবে গলায় ফাঁসের দাগ মিলেছে। কিন্তু পুলিশ রিপোর্টের সিসিটিভি কথা উল্লেখ না থাকায় রিপোর্ট তলব করল আদালত।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here