শুভম বন্দ্যোপাধ্যায়, কলকাতাঃ
গরু পাচার এবং কয়লা পাচার কাণ্ডে তদন্তে নেমে ধীরে ধীরে হাত পড়ছে খোদ সরকারি দফতরেই। কেন্দ্রীয় সংস্থার পাশাপাশি পৃথকভাবে এই ঘটনা তদন্তে নেমেছে লালবাজার।
বেআইনি সংস্থা খুলে কালো টাকা সাদা করার অভিযোগে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল ভুয়ো চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট গোবিন্দ আগরওয়ালকে। যদিও মঙ্গলবার তিনি জামিন পেয়েছেন। কিন্তু তাকে জেরা করে এবার নাম উঠে এল আয়কর দফতরের এক শীর্ষ আধিকারিকের। যদিও তাকে তলব করা হলেও তিনি এখন কলকাতার বাইরের বাসিন্দা এবং ক্যান্সারে আক্রান্ত বলে আসতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ মেছেদায় দুই হাজার সংখ্যালঘু মানুষ সহ খাদ্য কর্মাধ্যক্ষের বিজেপিতে যোগ
পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, বিভিন্ন সংস্থায় আয়কর হানার পর এই আয়কর শীর্ষ আধিকারিকের সঙ্গে মিটমাট করতে বসতেন গোবিন্দ আগরওয়াল। একদিকে সীমান্তে দুর্নীতিগ্রস্ত বিএসএফ আধিকারিকদের ঘুষ দিয়ে কাজ আদায় করতে এনামুল এবং লালা, আর অন্যদিকে এই আয়কর কর্তার সঙ্গে বোঝাপড়া করে কালো টাকা সাদা করে নিতেন গোবিন্দ আগরওয়াল নামে ওই ব্যবসায়ী।
আরও পড়ুনঃ সতীশ এনামুলকে মুখোমুখি বসে জেরা করবে সিবিআই
পুলিশ সূত্রে খবর, গোবিন্দ অগ্রবালকে গ্রেফতারের পর তাঁর দফতর থেকে উদ্ধার হয় আয়কর সংক্রান্ত নথি। ওই নথিতে শীর্ষ আধিকারিকের সই ছিল। জানা গিয়েছে, ওই আধিকারিক প্রিন্সিপ্যাল চিফ কমিশনার পদে কর্মরত। কীভাবে ওই আধিকারিকের সই করা নথি গোবিন্দ অগ্রবালের কাছে এল, তার তদন্ত শুরু করছে পুলিশ।
অভিযোগ, আয়কর দফতরের এক শীর্ষ আধিকারিকের সঙ্গে হাত মিলিয়ে জালিয়াতি করেছেন ওই ভুয়ো চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। পুলিশ সূত্রে দাবি, আয়কর দফতরের শীর্ষ আধিকারিকের সঙ্গে অভিযানে যেতেন গোবিন্দ। তবে করণা পরিস্থিতি এবং শারীরিক অসুস্থতার কথা বিবেচনা করে মঙ্গলবার তাকে জামিন দিয়ে দেয় ব্যাঙ্কশাল আদালত। তবে এই বৃহৎ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত আছে, তার খোঁজ চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584