তপন চক্রবর্তী,উত্তর দিনাজপুরঃ
শিল্পবিহীন উত্তর দিনাজপুর জেলায় ঐতিহ্যবাহী কালিয়াগঞ্জ ব্লকের মালগার কার্পেট শিল্পকে মেগা ক্লাস্টার শিল্পে পরিণত করবার জন্য রাজ্য সরকারের উদ্যোগে মঙ্গলবার জমি দেখার কাজ সরকারিভাবে শুরু করা হল।
উত্তর দিনাজপুর জেলা হস্ত ও তাঁত শিল্প আধিকারিক প্রদীপ দাশগুপ্তের সাথে মঙ্গলবার কালিয়াগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীপা সরকার,কালিয়াগঞ্জ ব্লকের যুগ্ম ব্লক আধিকারিক পরিমল দাস,সমাজসেবী বাপ্পা সরকার,গোলাম মুস্তাক সহ হস্ত ও তাঁত শিল্প দপ্তরের অন্যান্য অধিকারিকগন
কালিয়াগঞ্জের রঘুনাথপুর,মহেশডাঙ্গী সাহাপুর ও চাঁদগাঁও গ্রামে গিয়ে জমি দেখে আসেন।
হস্ত ও তাঁত শিল্প দপ্তরের জেলা আধিকারিক প্রদীপ দাশগুপ্ত এক প্রশ্নের উত্তরে জানান,কার্পেট শিল্পের উন্নয়নে এই এলাকায় সরকার একটি এমন প্রকল্প গড়তে চায় যেখানে এই এলাকার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কমবেশি দক্ষ ও অদক্ষ যুবক যুবতীদের কর্মসংস্থান হতে পারে।
প্রদীপবাবু বলেন,এখন যেমন কালিয়াগঞ্জের মালগাঁও কার্পেট শিল্পকে কাঁচা মালের জন্য বেনারসের উপর নির্ভর করতে হয়।কিন্তু এই মেগা ক্লাস্টার কার্পেটের প্রকল্পটি তৈরী হলে বেনারসের উপর আর নির্ভরশীল হয়ে থাকতে হবেনা।এই মেগা প্রকল্পের মাধ্যমে এখানেই কার্পেটের সমস্ত ধরনের কাঁচা মালের উৎপাদন হবে।রাজ্য সরকার চাইছে জমি যদি পছন্দমত পাওয়া যায় তাহলে আগামী তিন মাসের মধ্যেই এই প্রকল্পের পরিকাঠামোগত কাজ শুরু করে দেওয়া হবে।
কালিয়াগঞ্জের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীপা সরকার বলেন কালিয়াগঞ্জের মালগাঁওয়ে যেহেতু কার্পেটের কাজ দীর্ঘ দিন ধরেই চলছে।তাই কার্পেট শিল্পকে নিয়েই আমরা এই এলাকায় বড় ধরনের শিল্প কারখানা গড়ে সেখানে আমাদের ব্লকের বেকার যুবক যুবতীদের কাজের সুযোগ করে দেবার উদ্যোগ নিয়েছি রাজ্য সরকারের সহযোগিতায়।কালিয়াগঞ্জ ব্লকে কার্পেটের শিল্প গড়ে আমরা দেখিয়ে দিতে চাই যদি কাজ করবার ও উন্নয়নের আন্তরিক ইচ্ছা থাকে তাহলে উত্তর দিনাজপুর জেলার মধ্যে ও বড় আকারের শিল্প গড়ে তোলা সম্ভব।
কার্পেট শিল্পের মত উন্নতমানের একটি শিল্প আমাদের এলাকায় থাকা স্বত্বেও আগে কোন সরকার সেইভাবে উদ্যোগ নেয়নি। আমাদের এখানে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হলে ভিন রাজ্যে কাজের খোঁজে আমাদের এলাকার বেকারদের আর যেতে হবেনা বলেও দীপা দেবী জানান।
আরও পড়ুনঃ দুঃস্থ মানুষদের বিনামূল্যে আইনি পরিষেবা প্রদানের জন্য আইনি শিবির
জানা যায় প্রথম অবস্থায় এই প্রকল্পের জন্য আনুমানিক ব্যায় হবে পাঁচ কোটি টাকার মত।জমির প্রয়োজন হবে কমের পক্ষে পঞ্চাশ শতক থেকে তিন একরের মত।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584