সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
শিক্ষকদের পারিশ্রমিক ১৫ দিনের মধ্যে মেটাতে হবে এমনই নির্দেশ দিয়েছিলেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিমাই সাহা। খাতা দেখার পরে পেরিয়ে গেছে ছয় মাস। তারপরেও মেলেনি খাতা দেখার পারিশ্রমিক। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কলেজের আংশিক সময়ের শিক্ষকদের এই নিয়ে অসন্তোষ দেখা যায়।
গত সপ্তাহে তাঁরা পরীক্ষা নিয়ামকের দপ্তরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন ভবিষ্যতে আর খাতা দেখবেন না। এরপরেই পরীক্ষা নিয়ামক আনন্দজ্যোতি পাল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বিস্তারিত রিপোর্টে জানান অর্থ বিভাগের গাফিলতির জন্য খাতা দেখে বিল জমা দেওয়ার পরেও শিক্ষকরা পারিশ্রমিক পাননি।গত বুধবার রিপোর্ট পাওয়ার পর উপাচার্য নিমাই সাহা রেজিস্ট্রার তোফাজ্জল হোসেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন ‘ডিন’ অর্থ বিভাগে যান। সেখানে গিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মীদের কাছে তারা নথি দেখতে চান।
আধিকারিকদের কথায়, ফেব্রুয়ারি মাসের বিল নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মীরা পড়ে রয়েছেন। সারা মাসের বিল খতিয়ে দেখার পরে অর্থ অনুমোদনের জন্য তারা পাঠাবেন শিক্ষকদের পারিশ্রমিক পেতে আরও বেশ কিছুটা দেরি হবে বলেই তাঁদের মত। এই গাফিলতি কেন প্রশ্ন তুলে ১৫ দিনের মধ্যে বকেয়া বিল দেখে শিক্ষকদের পারিশ্রমিক মেটানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন উপাচার্য।নির্দেশ না মানলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।কিন্তু তারপরেও বেশ কিছু কর্মীর আচরণ নিয়ে এদিন কর্মবিরতি শুরু হয়।
আরও পড়ুনঃ বিচারকার্য আইনজীবীদের আন্দোলনে স্তব্ধ
শ্যামাপ্রসাদ বন্দোপাধ্যায় এবং নিলেন্দু ঘোষ বলেন, অর্থ বিভাগকে অচল করে কর্মবিরতি তারা সমর্থন করছেন না।উপাচার্য দ্রুত মিটে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584