লকডাউনের মাঝেই আমপান, আশায় বুক বাঁধছেন পাখা শিল্পীরা

0
43

নিজস্ব সংবাদদাতা, পূর্ব মেদিনীপুরঃ

গ্রীষ্মকালে তালপাতার তৈরি হাতপাখা বরাবরই চাহিদা থাকে। চাহিদা অনুযায়ী পাখা শিল্পীরা পৌষ মাস থেকেই কাজে লেগে পড়ে জোর কদমে। পূর্ব মেদিনীপুরের তালপাতার জোগান বেশি না থাকায় বাঁকুড়া থেকে তালপাতা সংগ্রহ করে পাখা তৈরি করতে হয় পাখা শিল্পীদের। তালপাতা এনে জলের মধ্যে ভিজিয়ে রেখে বিশেষ প্রক্রিয়ায় হাত পাখা তৈরি করা হয়।

Parimal Mandal | newsfront.co
পাখা শিল্পী- পরিমল মণ্ডল। নিজস্ব চিত্র

বিভিন্ন ধরনের তালপাতার পাখার পাশাপাশি প্লাস্টিকের হাতপাখা তৈরি করা হয়। লকডাউনের মাঝে ঘূর্ণিঝড় আমপান আসায় বেশ কিছু জায়গায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ফলে হাত পাখার চাহিদাও বেড়ে যায়। লকডাউনে কিছুটা ভেঙে পড়লেও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আশার আলো দেখছেন পাখা শিল্পীরা।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ডিমারী সংলগ্ন পাকুরিয়া গ্রামে প্রচুর পরিবার হাতপাখা তৈরির সঙ্গে যুক্ত। এই গ্রামে প্রায় ৩৫ থেকে ৪০টি পরিবারের সদস্যরা এই কাজের সাথে যুক্ত। তালপাতার তৈরি প্রতিটি হাতপাখার পাইকারি দাম ৮ থেকে ১০ টাকা। প্লাস্টিকের তৈরি প্রতিটি হাত পাখার পাইকারি দাম ৩ থেকে ৪ টাকা। স্পেশাল পাখার দাম প্রায় ২০ টাকা।

আরও পড়ুনঃ নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিদ্রোহী কবির জন্ম জয়ন্তী পালন ঘাটালে

এই হাত পাখা গুলো মূলত দুই মেদিনীপুর সহ, হাওড়া, বাঁকুড়া জেলার বিভিন্ন এলাকায় পাইকারি হিসাবে বিক্রি করা হয়। হাতপাখার চাহিদা মূলত চৈত্র বৈশাখ থেকে জৈষ্ঠ মাসেই বেশি হয়। বিভিন্ন মেলা, উৎসব, বাজার হাসপাতাল এই এলাকা গুলোতে হাতপাখা বেশি বিক্রি হয়। এবছর প্রথমের দিকে বাধ সাধলো করোনাভাইরাস।

করোনাভাইরাস এর ফলে সারা দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। সেই লকডাউনে আটকে গিয়েছে তালপাতার তৈরি হাতপাখার বাজার। ফলে অনেক আগে থেকেই তৈরি হওয়া প্রচুর পরিমাণে হাতপাখা পড়ে ছিলো পাখা শিল্পীদের বাড়ির মধ্যেই। লকডাউনের মাঝে আমফান ঘুর্ণিঝড়ের কারণে রাজ্যের পাশাপাশি জেলাজুড়ে বিদ্যুৎ বিপর্যয়। তার উপর তীব্র দাবদাহ। ফলে হাত পাখার চাহিদা বেড়েছে। ফলে লাভের মুখ দেখছে শিল্পীরা।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here